আগস্ট পর্যন্ত ১৮টি দেশে বিস্তার ঘটেছে ইসলামিক স্টেটের (আইএস)। এর মধ্যে বাংলাদেশ সহ কমপক্ষে ৬টি দেশে তারা তাদের শিকড় গেড়েছে। হোয়াইট হাউজের ডকুমেন্ট উদ্ধৃত করে এমন খবর দিয়েছে এনবিসি নিউজ। এতে বলা হয়েছে, আইএস আরও যে ৫টি দেশে শিকড় গেড়েছে সেগুলো হলো মিশর, ইন্দোনেশিয়া, মালি, ফিলিপাইন ও সোমালিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২০১৫ সালের হিসাব অনুযায়ী, আইএস তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে ১৩টি দেশে। অন্যদিকে নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক খবরে বলা হয়েছে, আইএস তাদের পদাতিক যোদ্ধাদের পাঠিয়েছে বাংলাদেশে। এ ছাড়া এশিয়ার আরও দুটি দেশে তারা তাদের যোদ্ধাদের পাঠিয়েছে। সে দেশ দুটি হলো মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া। এনবিসি নিউজের সন্ত্রাস বিষয়ক বিশ্লেষক ম্যালকম ন্যান্সি বলেছেন, ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসের মূলে সফলতার সঙ্গে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এনবিসি আইএস যেসব দেশে বিস্তার ঘটিয়েছে তার একটি ম্যাপ প্রকাশ করেছে। তারা বলেছে, এটি তারা কোন সোর্স থেকে পেয়েছে। এ বিষয়ে ম্যালকম ন্যান্সি বলেন, আইএসের উপস্থিতির এই ম্যাপ আরও বৃহৎ হতে পারে। সেসব স্থানে আইএস তাদের কর্মকা- চালাতে পারে অথবা তারা সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। তিনি বলেন, এটা বলা একেবারে সঠিক যে, আইসিস তাদের পুরো যুদ্ধক্ষেত্রকে বিস্তৃত করছে। এনবিসি বলেছে, তারা যে ম্যাপ হাতে পেয়েছে তা ‘আগস্ট ২০১৬’ সালের। এটি প্রস্তুত করেছে ন্যাশনাল কাউন্টার টেররিজম স্টোর। তাতে দেখা যাচ্ছে আগের ধারণার চেয়ে আইএস তাদের কর্মকা- বিস্তৃত করেছে তিনগুন দেশে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২০১৪ সালের একটি ডকুমেন্টে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী যখন জঙ্গিদের ধ্বংস করে দেয়ার কাজ শুরু করে তখন মাত্র ৭টি দেশে তাদের উপস্থিতি ছিল। একই মন্ত্রণালয়ের ২০১৫ সালের হিসাবে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ১৩টি দেশে। এটা আগের হিসাবের দ্বিগুন। কিন্তু এখন যে ম্যাপটি পাওয়া গেছে তাতে দেখা যাচ্ছে ১৮টি দেশে আইএস পূর্ণাঙ্গভাবে তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে। এই ম্যাপে একটি নতুন ক্যাটেগরি যোগ করা হয়েছে। এর নাম দেয়া হয়েছে ‘অ্যাসপ্রিং ব্রাঞ্চেচ’। তাতে ৬টি দেশ দেখানো হয়েছে, যেখানে আইএস তাদের শিকড় গেড়েছে। এ দেশগুলো হলো বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, মালি, ফিলিপাইন ও সোমালিয়া।