আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কটূক্তিমূলক স্ট্যাটাস দেওয়ার অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অভিযোগের তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে।
ওই শিক্ষক মো. শিবলী ইসলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রভাষক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিন্ডিকেটের একজন সদস্য বলেন, আজকের সভায় শিবলী ইসলামকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সায়েন উদ্দিন আহমেদকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ফয়জার রহমান ও সিন্ডিকেট সদস্য ইব্রাহিম হোসেন। তদন্ত কমিটিকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কোনো একটি বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৩ জুলাই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন শিবলী ইসলাম। সেই স্ট্যাটাস আইন মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিগোচর হলে ২৫ জুলাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর আইন মন্ত্রণালয় থেকে একটি চিঠি দেওয়া হয়।
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব তৈয়বুল হাসান স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘বিষয়টি আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী তথা সরকারের ভাবমূর্তির পরিপন্থী। মন্ত্রী কোন প্রেক্ষাপটে কী বক্তব্য দিয়েছেন, তা সম্পর্কে শিবলী ইসলাম কোনো ব্যাখ্যা প্রকাশ করেননি।’ চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘ফেসবুকে একজন শিক্ষকের এ ধরনের পোস্ট প্রকাশ করা জঙ্গিবাদ বিস্তারে সহায়ক এবং রাষ্ট্রের প্রতি হুমকিস্বরূপ। ইচ্ছাকৃতভাবে এরূপ মানহানিকর বক্তব্য প্রকাশ করায় তা তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইন, ২০০৬–এর ৫৭ ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হয়েও তিনি ফেসবুকে ওপরে উল্লিখিত পোস্ট প্রকাশ করে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছেন; যা শিক্ষকতা পেশার নৈতিক মানদণ্ডের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।’