ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
গ্রাম বাংলা ডেস্ক
সিলেট: সিলেট ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন খানের উপর হামলাকারী সকল ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের গ্রেফতারে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। হামলার ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদ গ্র“পের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা নেয়ারও নির্দেশ দেন তিনি।
গতকাল রোববার রাত ১০টার দিকে অর্থমন্ত্রীর বাসভবন নগরীর পূর্ব ধোপাদিঘীরপাড়স্থ হাফিজ কমপ্লেক্সে গিয়ে আহত ফরহাদ হোসেন খান দেখা করার পর তিনিএ নির্দেশ দেন। অর্থমন্ত্রীর নির্দেশের পর সিলেট কোতোয়ালী থানা পুলিশও নড়েচড়ে বসেছে।
জানা যায়- রোববার রাতে ফরহাদ হোসেন খান মাথা ব্যান্ডেজ নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সাথে দেখা করেন। তিনি ১৩ সেপ্টেম্বর তালতলায় তার উপর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরীয়ার আলম সামাদসহ তার গ্র“পের নেতাকর্মীদের হামলার ঘটনার বর্ণনা দেন। এ ঘটনায় কোতোয়ালী থানা পুলিশ মামলাও নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ফরহাদ হোসেন খানের কাছ থেকে অভিযোগ শুনে অর্থমন্ত্রী মুহিত পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ডেকে হামলার ঘটনায় মামলা রেকর্ডের নির্দেশ দেন। সেই সাথে হামলার সাথে জড়িত জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সামাদ গ্র“পের নেতাকর্মীদেরও গ্রেফতারের নির্দেশ দেন তিনি। অর্থমন্ত্রীর নির্দেশের ব্যাপারে জানতে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মো. রহমত উল্লাহ ও কোতোয়ালী থানার ওসি আসাদুজ্জামানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তারা কেউই ফোন রিসিভ করেননি।
কোতোয়ালী থানার সেকেন্ড অফিসার উপ পরিদর্শক (এসআই) মোবাশ্বির আলী জানান- ফরহাদ হোসেন খানের উপর হামলার ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা নিতে ও তাদেরকে গ্রেফতারে অর্থমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেফতারে তৎপরতা শুরু করেছে।
প্রসঙ্গ, হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগের সামাদ ও ফরহাদ উভয় গ্র“পের প থেকে পাল্টাপাল্টি এজহার থানায় জমা দিয়েছিলেন। কিন্ত কোন গ্র“পের মামলাই থানায় রেকর্ড হয়নি।
ফরহাদ হোসেন খানের গ্র“পের পক্ষে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য রেজাউর রহমান মোস্তাক বাদি হয়ে থানায় একটি এজহার দাখিল করেন। ওই এজহারে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি এমদাদ রহমান, মহানগর ছাত্রলীগের সহ সভাপতি সুজেল তালুকদার, জেলার সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহীন আহমদ, ছাত্রলীগ নেতা মুরছালিন আহমদ, দুলাল মিয়া, জনি দেব, মুন্না ও জনিসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে।
শাহরীয়ার আলম সামাদ গ্রুপের পে ছাত্রলীগ নেতা শাহেদ আহমদ বাদি হয়ে থানায় এজহার দাখিল করেন। ওই এজহারে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য রেজাউর রহমান মোস্তাক, জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক দিদার হোসেন সাজু, মুহিবুর রহমান মুহিব, ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজান, রুহুল আহমদ, নূরুল ইসলাম সোহেল ও সুবিনয় মল্লিকসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।