লাশগুলো মর্গে পড়ে আছে গুলশানের হলি আর্টিজান ও কল্যাণপুরের ‘জাহাজবাড়ি’তে নিহত ১৫ জঙ্গির লাশ। কেউ দাবি জানায়নি লাশ গ্রহণের। গুলশান ট্র্যাজেডির এক মাস পূর্ণ হলো আজ। এ ঘটনায় নিহত ছয় জঙ্গির লাশ পড়ে আছে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের হিমঘরে। একইভাবে কল্যাণপুরের জাহাজবাড়িতে পুলিশের অভিযানে নিহত নয় জঙ্গির লাশ আছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে। এই লাশের গন্তব্য কোথায়? আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, শেষ পর্যন্ত অভিভাবকদের কেউ আবেদন না করলে আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হবে লাশ। তারাই তা দাফন করবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কল্যাণপুরের ‘জাহাজবাড়ি’র ঘটনায় নিহত নয় জনের মধ্যে আট জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। জাতীয় পরিচয়পত্রের আঙুলের ছাপের সঙ্গে তাদের আঙুলের ছাপ মিলিয়ে পরিচয় শনাক্ত করা হয়। তার আগে নিহতদের পরিচয় উদ্ধারের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের ছবি প্রকাশ করা হয়। এর আগে গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলাকারীদের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের পর তাদের বন্ধু-স্বজনদের মাধ্যমেই পরিচয় উদঘাটন হয়েছিল। কিন্তু অভিভাবকদের কেউ নিহতদের লাশ গ্রহণের জন্য আবেদন করেননি।
এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) মাসুদুর রহমান বলেন, নিহতের লাশ মর্গে আছে। এখনও কেউ লাশের জন্য আবেদন করেনি। লাশের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহসহ প্রয়োজনীয় কাজ করা হচ্ছে। লাশের জন্য কেউ আবেদন না করলে আদালতের মাধ্যমে তা আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি। নিহতদের মধ্যে সাজাদ রউফ অর্কের লাশ দেখে শনাক্ত করতে পারেননি তার পিতা তৌহিদ রউফ। তিনি মানবজমিনকে বলেন, লাশের অবস্থা দেখে বুঝার উপায় নেই এটি কার লাশ। লাশটি আমার ছেলের কি-না তা চিনতে পারিনি। এজন্য ডিএনএ পরীক্ষার দাবি জানান তিনি। এদিকে এখন পর্যন্ত একজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আঙুলের ছাপে তার পরিচয় মিলেনি। ছবি দেখে স্বজনও আসেনি কেউ।
গুলশান ট্র্যাজেডিতে নিহতদের লাশ রয়েছে সিএমএইচে। এ বিষয়ে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)’র পরিচালক লে. কর্নেল মোহাম্মদ রাশিদুল হাসান মানবজমিনকে জানান, লাশগুলো সিএমএইচে আছে। লাশ গ্রহণ করতে হলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে আবেদন করতে হবে বলে জানান তিনি।
গুলশান ট্র্যাজেডিতে নিহতদের সকলের পরিচয় পাওয়া গেছে। এ নিয়ে নিজেদের বক্তব্যও প্রকাশ করেছেন নিহতদের স্বজনরা। নিহতদের মধ্যে মীর সামেহ মোবাশ্বেরের পিতা একটি টেলিকম কোম্পানির কর্মকর্তা মীর হায়াতুল কবির। তিনি ছেলের কৃতকর্মের জন্য সকলের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন। একইভাবে এ ঘটনায় নিহত রোহান ইবনে ইমতিয়াজের পিতা মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা এসএম ইমতিয়াজ খান (বাবুল) ছেলের কৃতকর্মের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন। ওই ঘটনায় নিহত জঙ্গি মীর সামেহ মোবাশ্বের, রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, নিব্রাস ইসলাম, খায়রুল ইসলাম পায়েল ও শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল ও সন্দেহভাজন সাইফুল ইসলামের পরিচয় শনাক্ত হলেও লাশ নেননি স্বজনরা। সাইফুল হলি আর্টিজানের সেফ ছিল। তার পরিবারের দাবি, সে জঙ্গি কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত এমন তথ্য তাদের কাছে নেই।
লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ডিএনএ নমুনাও রাখা হয়েছে। এমনকি হামলার সময় জঙ্গিরা নেশা ও শক্তিবর্ধক জাতীয় কিছু খেয়েছিল কি-না তা জানতে দুই দফা নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, প্রত্যেকের বডি থেকে ২০ মিলিলিটার রক্ত ও ৩০টি করে চুল সংগ্রহ করা হয়। তার আগে ময়না তদন্তের সময় রক্ত, দাঁত ও উরুর মাংস সংগ্রহ করা হয়েছিল বলে জানান তিনি। আদালতের নির্দেশে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটে তা হস্তান্তর করেন চিকিৎসকরা। পরদিন তা পরীক্ষার জন্য আমেরিকার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই’র প্রতিনিধির কাছে হস্তান্তর করে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। লাশ হস্তান্তর প্রসঙ্গে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের উপ-পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা পরিচয় যা পেয়েছি তা প্রকাশ করেছি। কিন্তু লাশ গ্রহণের জন্য এখন পর্যন্ত কেউ আবেদন করেনি। আইনানুগ প্রক্রিয়াতেই নিহতদের লাশ দাফন করা হবে বলে জানান তিনি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কল্যাণপুরের ‘জাহাজবাড়ি’র ঘটনায় নিহত নয় জনের মধ্যে আট জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। জাতীয় পরিচয়পত্রের আঙুলের ছাপের সঙ্গে তাদের আঙুলের ছাপ মিলিয়ে পরিচয় শনাক্ত করা হয়। তার আগে নিহতদের পরিচয় উদ্ধারের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের ছবি প্রকাশ করা হয়। এর আগে গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলাকারীদের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের পর তাদের বন্ধু-স্বজনদের মাধ্যমেই পরিচয় উদঘাটন হয়েছিল। কিন্তু অভিভাবকদের কেউ নিহতদের লাশ গ্রহণের জন্য আবেদন করেননি।
এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) মাসুদুর রহমান বলেন, নিহতের লাশ মর্গে আছে। এখনও কেউ লাশের জন্য আবেদন করেনি। লাশের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহসহ প্রয়োজনীয় কাজ করা হচ্ছে। লাশের জন্য কেউ আবেদন না করলে আদালতের মাধ্যমে তা আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি। নিহতদের মধ্যে সাজাদ রউফ অর্কের লাশ দেখে শনাক্ত করতে পারেননি তার পিতা তৌহিদ রউফ। তিনি মানবজমিনকে বলেন, লাশের অবস্থা দেখে বুঝার উপায় নেই এটি কার লাশ। লাশটি আমার ছেলের কি-না তা চিনতে পারিনি। এজন্য ডিএনএ পরীক্ষার দাবি জানান তিনি। এদিকে এখন পর্যন্ত একজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আঙুলের ছাপে তার পরিচয় মিলেনি। ছবি দেখে স্বজনও আসেনি কেউ।
গুলশান ট্র্যাজেডিতে নিহতদের লাশ রয়েছে সিএমএইচে। এ বিষয়ে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)’র পরিচালক লে. কর্নেল মোহাম্মদ রাশিদুল হাসান মানবজমিনকে জানান, লাশগুলো সিএমএইচে আছে। লাশ গ্রহণ করতে হলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে আবেদন করতে হবে বলে জানান তিনি।
গুলশান ট্র্যাজেডিতে নিহতদের সকলের পরিচয় পাওয়া গেছে। এ নিয়ে নিজেদের বক্তব্যও প্রকাশ করেছেন নিহতদের স্বজনরা। নিহতদের মধ্যে মীর সামেহ মোবাশ্বেরের পিতা একটি টেলিকম কোম্পানির কর্মকর্তা মীর হায়াতুল কবির। তিনি ছেলের কৃতকর্মের জন্য সকলের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন। একইভাবে এ ঘটনায় নিহত রোহান ইবনে ইমতিয়াজের পিতা মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা এসএম ইমতিয়াজ খান (বাবুল) ছেলের কৃতকর্মের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন। ওই ঘটনায় নিহত জঙ্গি মীর সামেহ মোবাশ্বের, রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, নিব্রাস ইসলাম, খায়রুল ইসলাম পায়েল ও শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল ও সন্দেহভাজন সাইফুল ইসলামের পরিচয় শনাক্ত হলেও লাশ নেননি স্বজনরা। সাইফুল হলি আর্টিজানের সেফ ছিল। তার পরিবারের দাবি, সে জঙ্গি কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত এমন তথ্য তাদের কাছে নেই।
লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ডিএনএ নমুনাও রাখা হয়েছে। এমনকি হামলার সময় জঙ্গিরা নেশা ও শক্তিবর্ধক জাতীয় কিছু খেয়েছিল কি-না তা জানতে দুই দফা নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, প্রত্যেকের বডি থেকে ২০ মিলিলিটার রক্ত ও ৩০টি করে চুল সংগ্রহ করা হয়। তার আগে ময়না তদন্তের সময় রক্ত, দাঁত ও উরুর মাংস সংগ্রহ করা হয়েছিল বলে জানান তিনি। আদালতের নির্দেশে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটে তা হস্তান্তর করেন চিকিৎসকরা। পরদিন তা পরীক্ষার জন্য আমেরিকার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই’র প্রতিনিধির কাছে হস্তান্তর করে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। লাশ হস্তান্তর প্রসঙ্গে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের উপ-পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা পরিচয় যা পেয়েছি তা প্রকাশ করেছি। কিন্তু লাশ গ্রহণের জন্য এখন পর্যন্ত কেউ আবেদন করেনি। আইনানুগ প্রক্রিয়াতেই নিহতদের লাশ দাফন করা হবে বলে জানান তিনি।