হাসি ইকবাল: এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময় এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময় মিছিলের সব হাত, কণ্ঠ, পা এক নয় আমার উঠতি যৌবনের শুরুতে এই কবিতাটি আবৃত্তি করতাম আর ভাবতাম কবিরা কেমন হয়? কবিদের নাক মুখ চোখ সেও কি আমাদের মতো হয়? তখন এক ধরনের ধারণা ছিল প্রেম না করলে আর ছ্যাকা না খেলে বুঝি কবি হওয়া যায় না। হুম তখনকার ভাবনা আর এখনকার ভাবনা ভীষণ গুলিয়ে ফেলি আজকাল। সত্যি তো কবি আর মানুষের মধ্যে শারীরিক কোন তফাৎ হয় না তবে একটা জায়গায় বোধহয় তফাৎ থেকেই যায় তাহলোÑ কবিতায় মানুষ মর্ত্যরে সীমানা অতিক্রম করে অমৃতের স্পর্শ পায়। আর এই অসাধ্য সাধনের পিছনে যিনি কলকাঠি নাড়ান তিনিই কবি। তাই হয়তো বলা হয় কবিতা মানুষের মৃত্যুঞ্জয়ী অর্জন। কবি হলেন অসীমের স্রষ্টা, শব্দের অসাধারণ শক্তি ও ছন্দের প্রজাপতি পাখায় অভিসারী করে তার সুদূরপ্রসারী বিস্তার ঘটান। কবি আর সাধারণ মানুষের দেখার ও দৃষ্টিভঙ্গির তফাৎ হলো তিনি যেভাবে ভাবেন, যেভাবে দেখেন আমরা সেভাবে দেখি না। আমরা সেভাবে বুঝি না। তিনি কল্পনার জগৎ ও সংসারকে এমনভাবে আলোড়িত করেন যার মাধ্যম্যে তার অনেক সময় বাস্তবের সীমাবেষ্টিত আনন্দ-বেদনা হয়ে উঠে মর্মস্পর্শী। যা স্থান, কাল, পাত্রভেদে মানুষের হৃদয়কে আলোড়িত করে ব্যক্তিবোধের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বজনিন বোধে রূপান্তরিত হয়। তিনি প্রতিদিনের জাগতিক ঘটনাগুলোর অনুভবকে অনন্তের জগতে, অমৃতের অনির্বচনীয় সুধার জগতে এবং অভূতপূর্ববোধের জগতে নিয়ে যান। কষ্ট নেবে কষ্ট হরেক রকম কষ্ট আছে কষ্ট নেবে কষ্ট লাল কষ্ট নীল কষ্ট কাঁচা হলুদ রঙের কষ্ট পাথর চাপা সবুজ ঘাসের সাদা কষ্ট মালটি কালার কষ্ট আছে কষ্ট নেবে কষ্ট। হুম আমি আজ কষ্টের ফেলিওয়ালা কবি হেলাল হাফিজকে নিয়েই লিখছি। বাংলাদেশের একজন আধুনিক কবি যিনি স্বল্পপ্রজ হলেও বিংশ শতাব্দীর শেষাংশে বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। জানা গেছে, হেলাল হাফিজের কবিতায় হেলেন নামের এক নারীর উপস্থিতি আছে, এই নারীকে কেন্দ্র করে তিনি বেশ কয়েকটি মর্মস্পর্শী কবিতা লিখেছেন। এবং হেলেনের প্রসঙ্গ এলে তিনি আত্মনিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে কান্নাকাটিও করতেন। সম্ভবত হেলেনকে নিয়েই তিনি লিখেছেনÑ এখন তুমি কোথায় আছো কেমন আছো, পত্র দিয়ো এক বিকেলে মেলায় কেনা খামখেয়ালী তাল পাখাটা খুব নিশীথে তোমার হাতে কেমন আছে, পত্র দিয়ো ক্যালেন্ডারের কোন পাতাটা আমার মতো খুব ব্যথিত ডাগর চোখে তাকিয়ে থাকে তোমার দিকে, পত্র দিয়ো কোন কথটা অষ্টপ্রহর কেবর বাজে মনের কানে কোন স্মৃতিটা উস্কানি দেয় ভাসতে বলে প্রেমের বানে পত্র দিয়ো পত্র দিয়ো এক জীবনে কতোটা আর নষ্ট হবে এক মানবী কতোটা আর কষ্ট দেবে কবির অসাধারণ কল্পনার বিস্তার, সৃষ্টিশক্তি ও বাস্তবের সীমারেখা অতিক্রম করে যাওয়ার দিব্যশক্তিকে দার্শনিকরাও ভয়ের চোখে দেখেন। তাইতো প্লোটো তার গণরাজ্য বা রিপাবলিক থেকে কবিদের বহিষ্কার করতে চেয়েছিলেন। কবিদের সম্পর্কে প্লোটোর শঙ্কা অমূলক ছিল না কারণ কবিরা বাস্তবের দাস নয়। তারা মানুষের ও প্রকৃতির মধ্যে পূর্ণতা খোঁজেন বলেই সবসময় বিয়োগবোধ কাজ করে, এই বিয়োগবোধ বর্তমানের, পরিপার্শি¦কের সীমাবদ্ধতার মধ্যে, মানুষের সঙ্গে মানুষের, মানুষের সঙ্গে প্রকৃতির সম্পর্কেও অপূর্ণতার সৃষ্টি করে। কবি কালিদাস এ প্রসঙ্গে বলেন, সুন্দরকে দেখে অথবা মধুর শব্দ শুনে আমার মনে যুগযুগান্তরের স্মুতি উদ্বেল হয়ে উঠে। কবিদের সংবেদনশীলতার মূলে রয়েছে সুতীব্র জীবন- পিপাসা। যার রূপরস গন্ধমায় পৃথিবী থেকে অঞ্জলীভরে দান গ্রহণ করে পঞ্চইন্দ্রিয়ের মাধ্যম্যে জীবনের আরতি করেন। তারই প্রকাশ ঘটে কবিতায় ও শিল্পে। শেক্্রপিয়ার বলেছেন, ও যধাব রসসড়ৎঃধষ ষড়হমরহমং রহ সব . আর জীবনের অমর পিপাসই কবিদের দিব্য- দৃষ্টিসম্পন্ন করে, চারপাশের জগৎকে অতিক্রম করার সাহস দেয়। কবি হেলাল হাফিজ ১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর নেত্রকোনায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম খোরশেদ আলী তালুকদার। মাতার নাম কোকিলা বেগম। ১৯৬৫ সালে নেত্রকোনা দত্ত হাইস্কুল থেকে এসএসসি এবং ১৯৬৭ সালে নেত্রকোনা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। ঐ বছরই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ভর্তি হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থায় ১৯৭১ সালে তিনি তৎকালীন জাতীয় সংবাদপত্র দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকায় সাংবাদিকতায় যোগদান করেন। ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন দৈনিক পূর্বদেশের সাহিত্য সম্পাদক। ১৯৭৬ সালের শেষ দিকে তিনি দৈনিক দেশ পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদক পদে যোগদান করেন। সর্বশেষ তিনি দৈনিক যুগান্তরে কর্মরত ছিলেন। যুদ্ধ, দ্রোহ আর স্বাধীনতাকে এক সুরে বেঁধেছেন কবি হেলাল হাফিজ। স্টেনগানের ঝংকারের মতো তার কবিতার প্রতিটি চরণ রক্তে ঝড় তোলে। তাইতো তার বজ্রহাতে স্টেনগানের মত গর্জে উঠে কবিতার চরণ- মারণাস্ত্র মনে রেখো ভালোবাসা তোমার আমার নয় মাস বন্ধু বলে জেনেছি তোমাকে কেবল তোমাকে বিরোধী নিধন শেষে কতোদিন অকারণে তাঁবুর ভেতরে ঢুকে দেখেছি তোমাকে বারবার কতোবার। অথবা, যদি কোনদিন আসে আবার দুর্দিন যেদিন ফুরাবে প্রেম অথবা হবে না প্রেম মানুষে মানুষে ভেঙ্গে সেই কালো কারাগার আবার প্রণয় হবে মারণাস্ত্র তোমার আমার। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের ক্র্যাকডাউনের রাতে অলৌলিকভাবে বেঁচে যান হেলাল হাফিজ। সে রাতে ফজলুল হক হলে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় পড়ে সেখানেই থেকে যান। রাতে নিজের হল ইকবাল হলে (বর্তমান জহুরুল হক) থাকার কথা ছিল। সেখানে থাকলে হয়তো তিনি সেদিন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নৃশংস হত্যাযজ্ঞের শিকার হতেন। হলের গেটে কবি কবি নির্মলেন্দু গুণের সাথে তার দেখা হয় তাকে জীবিত দেখে উচ্ছ্বসিত আবেগে বুকে জড়িয়ে অঝোরে কাঁদতে থাকেন নির্মলেন্দু গুণ। ক্র্যাকডাউনে হেলাল হাফিজের কি পরিনতি ঘটেছে তা জানবার জন্য সেদিন আজিমপুর থেকে ছুটে এসেছিলেন কবি গুণ। পরে নদীর ওপারে কেরানীগঞ্জের দিকে আশ্রয়ের জন্য দু’জনে বুড়িগঙ্গা পাড়ি দেন। দেশমাতৃকার কবি, স্বাধীনতার কবি হেলাল হাফিজ। তাইতো তিনি তার ‘একটি পতাকা পেলে’ কবিতায় বলেছেনÑ কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে আমি আর লিখবো না বেদনার অঙ্কুরিত কষ্টের কবিতা কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে ভজন গায়িকা সেই সন্ন্যাসিনী সবিতা মিস্ট্রেস ব্যর্থ চল্লিশে বসে বলেবেন, পেয়েছি, পেয়েছি। কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে পাতা কুড়োনির মেয়ে শীতের সকালে ওম নেবে জাতীয় সংগীত শুনে পাতার মর্মরে। বড় কষ্ট লাগে কবির কবিতার সাথে তার জীবনের কষ্ট যখন মিলে যায়। সত্যি দেশ আজ একটি পতাকা পেয়েছেÑ স্বাধীন দেশের স্বাধীন পতাকা। পাতা কুড়ানীরাও আজ শীতের সকালে জাতীয় সংগীত শুনে পাতার মর্মরে ওম নেয় কিন্তু কবি! যে কবি দেশকে ভালোবেসে দেশের মানুষকে ভালোবেসে স্বপ্ন দেখে বলেছিলেনÑ ছিল তা এক অগ্ন্যুৎসব, যেদিন আমি সবটুকু বুক রেখেছিলাম স্বয়ংক্রিয় অগ্নেয়াস্ত্রে জীবন বাজি ধরেছিলাম প্রেমের নামে রক্ত ঋণে স্বদেশ হলো তোমার দিকে চোখ ছিলো না জন্মভূমি সেদিন তোমার সতীন ছিলো। জন্মভূমি সতীন ছিলো কি ছিলো না তা আমি বলতে পারবো না। তবে হেলাল হাফিজের সাথে আজন্ম সতিন বোধ হয় রয়েই গেছে তা হলোÑ কষ্ট! কষ্ট নামক কষ্টের আজন্ম সতীন তার পিছু ছাড়েনি। তিনি ভূমিহীন কৃষকের গান কবিতায় বলেছেনÑ দুই ইঞ্চি জায়গা হবে? বহুদিন চাষাবাদ করিনা সুখের। মাত্র দুই ইঞ্চি দুই জমি চাই এর বেশী কখনো চাবো না যুক্তিসঙ্গত এই জৈবনিক দাবী খুব বিজ্ঞানসম্মত তবু ও টুকু পাবো না এমন কি অপরাধ কখন করেছি! আজ দুই ইঞ্চি জায়গার মতই অসচ্ছল জীবনযাপন করছেন কবি হেলাল হাফিজ। বলা যায় বাংলা ভাষার জীবিত কবিদের মধ্যে নিঃসন্দেহে তিনি জনপ্রিয় ও পাঠকসমৃদ্ধ। নিভৃতচারী, সদালাপী, চিরঅভিমানী এই কবির জীবন কেটেছে অত্যন্ত সাদাসিধেভাবেই। ব্যক্তি জীবনের কিছু কষ্ট আর অভিমান তাকে অনেকটা আত্মগোপন কিংবা স্বেচ্ছানির্বাসনে রাখে কিছুদিন। দীর্ঘ ৪২ বৎসর যাবৎ তিনি প্রেসক্লাবের পাশে একটি হোটেলের জীর্ণ কামরায় একাকী মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তিন বেলা প্রেসক্লাবে কোন রকম খেয়ে না খেয়ে চলছে এই অসামান্য মানবতার কবি, প্রেমিক কবির জীবন প্রণালী। সম্প্র্রতি, তিনি আবারও মানুষের সাথে মিশতে শুরু করেছেন। মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত, অজস্র পাঠক আর ভক্তের প্রিয় চিরকুমার ও অভিমানী এই কবি আজ বিনাচিকিৎসার দু’চোখ হারাতে বসেছেন। কবির সাথে কথা বলে জানা যায়, এক চোখে তিনি দেখেন না। আরেক চোখেও ঝাঁপসা দেখেন। ব্যর্থ অপারেশনের ফলাফল স্বরূপ কবি আজ প্রায় অন্ধ। শুধু তাই নয়, তার শারীরিক অন্যান্য সমস্যাগুলোও প্রকট আকার ধারণ করেছে। এছাড়াও তিনি এজমার সমস্যা জনিত শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। কবির বেশ কিছু কবিতা আজ গানে রূপান্তরিত হয়েছে। এখনো বিভিন্ন সাহিত্যানুষ্ঠানে দ্যার্থীহীন কণ্ঠে উপস্থাপিত হয়Ñ এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়। কিংবা শোনা যায় কোন দূর বাতাসের শব্দে কারো মধুর কণ্ঠে আবৃত্তি, মোবাইল রিংটোন কিংবা গানÑ এখন তুমি কোথায় আছো কেমন আছো, পত্র দিয়ো এক বিকেলে মেলায় কেনা খামখেয়ালী তাল পাখাটা খুব নিশীথে তোমার হাতে কেমন আছে, পত্র দিয়ো মুক্তিযুদ্ধে যারা গান, কবিতা, নাটক মঞ্চস্থ করে যুদ্ধকে বেগবান করতে সহযোগিতা করেছেন, আমি মনে করি তারাও মুক্তিযোদ্ধা। কবি হেলাল হাফিজের কবিতা বাঙালি জাতিসত্তা তথা বর্তমান প্রজন্মের মনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে এখনো জাগিয়ে তোলে। কবিতার নেশায় মগ্ন এই মানুষটি শুধু বাংলা সাহিত্যের ভা-ারকে দিয়েই গেছেন। কোনদিন হাত পেতে কিছু নেননি, কিছু চাননি। বাংলা সাহিত্যে কবিরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে আবির্ভূত হয়েছেন এবং তাদের সময়ের মানুষের মনে এক একভাবে অধিকার ও আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। বলা চলে জায়গা দখল করে রেখেছেন। পাঠকের চাহিদাকে, অন্তরমূলকে এবং একটি ভাষাভাষি জাতির কেন্দ্রীয় অস্তিত্বকে নাড়া দেন, ঝাঁকা দেন এমন কবি নজরুল ইসলামের পর আমরা হেলাল হাফিজকেই পাই। একথা অমূলক নয়। কারণ হেলাল হাফিজ একজন আধুনিক কবি, শক্তিমান কবি বলা যায় উত্তর আধুনিক কালের শ্রেষ্ঠ কবি। কবি হেলাল হাফিজ ১৯৮৬ সালে তার প্রথম প্রকাশিত বই “যে জলে আগুন জ্বলে” প্রকাশিত হয়। কবিতার জন্য তিনি নারায়নগঞ্জ বৈশাখী মেলা উদযাপন কমিটির কবি সংবর্ধনা (১৯৮৫), যশোহর সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার (১৯৮৬), আবুল মনসুর আহমদ সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৭), নেত্রকোনা সাহিত্য পরিষদের কবি খালেদদাদ চৌধুরী পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন। এছাড়াও কবিতায় ২০১৪ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কারে ভূষিত হন। কালের ক্ষরণে হারিয়ে গেছে অনেক কবি সাহিত্যিক কিন্তু তাদের লেখাগুলো আজো মানুষের মনে দাগ কাটে। কিংবদন্তী এই জীবন্ত গুণী কবি হেলাল হাফিজ তার জীবদ্দশায় যোগ্য প্রাপ্যটুকু পাবেন এ আশাটুকু আমরা দেশপ্রধানের কাছে দাবি রাখছি। পাশাপাশি সরকারিভাবে তিনি দেশে কিংবা বিদেশে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবার সুযোগটুকু পাবেন এই আশাবাদ করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন, জাতীয় কবিসহ জ্যেষ্ঠ কবিদের শুধুমাত্র জাতীয় বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত করার মাধ্যমে আবদ্ধ নয়, দুস্থ ও গরিব কবিসহ জাতীয় কবিদের জন্য সরকারি ফ্ল¬্যাট বরাদ্দসহ যথাযথ মূল্যায়ন করা হোক। কবিরা দেশের গর্ব, দেশের সম্পদ। এই সম্পদকে সময় থাকতে মূল্যায়নপূর্বক কবি হেলাল হাফিজের চিকিৎসার জন্য সরকার এগিয়ে আসবেন এই আশা সাধারণ মানুষের।
সৌজন্যে দৈনিক ইনকিলাব