জঙ্গী হামলায় আতঙ্কিত দেশ। দেশী বিদেশী নাগরিক খুন হয়েছেন। প্রতিনিয়ত আতঙ্ক আসছে নতুন নতুন কৌশলে। বিদেশীরা আমাদের ভয় করছে। ভয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিল আমাদের দেশে তাদের অফিস বন্ধ করে দিয়েছে। নিরাপত্তা ইস্যুতে আমাদের আয়ের উৎস গুলো হুমকির মুখে পড়ছে। দেশ ও মানুষ আতঙ্কে আছে। আমরা সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে জঙ্গীবাদকে মোকাবেলা করার চেষ্টা করছি। ঠিক এই সময়ে সরকার জেলা পরিষদ নির্বাচন দেয়ার ঘোষনা দিয়েছে।
আগামী ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচন হবে বলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জানিয়েছেন। বিগত নির্বাচন গুলো কেমন হয়েছে তা জাতির জানা আছে। নির্বাচনে ভোটের পরিবর্তে ভোটার খুন হয়েছে। পাশ ও ফেল হওয়ার আগেই প্রার্থী খুন হয়েছেন। যারা ভোট নিবেন তারাই নিজেরা প্রার্থীর পক্ষে সিল মেরেছেন। এই পর্যন্ত এই সরকারের আমলে নির্বাচনী সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা কয়েকশ ছাড়িয়ে গেছে। মানে এর অর্থ হল ভোট বলতে বুঝায় ভোটার বা প্রার্থী খুন।
তাই জঙ্গীবাদ মোকাবেলা করতে আমরা সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলছি কিন্তু ভোটার খুন প্রতিরোধে কোন আন্দোলন গড়ে তুলবো তা জানিনা। যেহেতু ভোটার খুন প্রতিরোধ আমরা করতে পারব না তাই এখন ভোটের কি দরকার। জঙ্গীবাদ মোকাবেলা করেই না হয় ভোট হউক। আর যদি ভোটটি খুব জরুরী হয় তবে সরকারী দলের মনোনয়ন প্রাপ্তদেরকে বিজয়ী ঘোষনা করলে রক্তপাত হওয়ার আশংকা কমে যায়।