আজ রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বৈষম্য ও দারিদ্র্য নিরসনে বাজেট ও অন্যান্য নীতি-কাঠামোর ভূমিকা’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সর্বদলীয় সংসদীয় গ্রুপ এ সংলাপের আয়োজন করে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, তিনি সিলেটের একটি কলেজের সভাপতি ছিলেন। ওই কলেজে আগে যেখানে ভর্তি কার্যক্রম থেকে আয় হতো আট লাখ টাকা, সেখানে যখন অনলাইন পদ্ধতি ভর্তি চালু করা হলো, সেই আয় বেড়ে হলো ৮৩ লাখ টাকা। আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, অনলাইনে লেনদেন হলে চুরি ঠেকানো সম্ভব, চোর ধরা যায় এবং অর্থ যার কাছে যাওয়ার কথা তার কাছেই যায়। ফলে সরকার পরিচালনায় বাজেটের অপচয় হয় না।
আয়করদাতার সংখ্যা এই সরকারের চলতি মেয়াদ শেষ হওয়া আগেই ২০ লাখে উন্নীত করা লক্ষ্য রয়েছে বলে মন্ত্রী জানান। এখন এ সংখ্যা ১২ লাখ।
এমন পর্যায়ে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু অর্থমন্ত্রীকে একটি প্রস্তাব দেন। বলেন, এক কোটি টাকা কর দিতে পারেন, এমন ৩০ হাজার করদাতা চিহ্নিত করা। এই প্রস্তাবটিকে স্বাগত জানান অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, এটি চমৎকার প্রস্তাব। কীভাবে এমন করদাতাদের চিহ্নিত করা যায়, সে পদক্ষেপ তিনি নেবেন।
শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রাইমারি ও উচ্চশিক্ষার পদ্ধতি ভালো। কিন্তু মাধ্যমিক শিক্ষাব্যবস্থা ভালো নয় বলে তিনি মনে করেন।’ এ নিয়ে তিনি শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন বলে জানান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সাংসদ দীপু মনি। বক্তব্য দেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষণা পরিচালক বিনায়ক সেন।