জার্মানবাসীর মধ্যে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা আগের থেকে আরো আট ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। দু’সপ্তাহের ব্যবধানে জার্মান টিভি জেডডিএফ পরিচালিত জরিপে এ তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। এতে দেখা যায়, প্রথম হামলার আগে ৬৯ ভাগ মানুষের আশঙ্কা ছিল তাদের দেশে শিগগিরই হামলা হবে। এরপর দ্বিতীয় হামলার পরে এখন আরো আট ভাগ বেশি অর্থাৎ ৭৭ ভাগ মানুষ আশঙ্কা করছেন যে, শিগগিরই আরো হামলা হতে পারে। উল্লেখ্য যে, জার্মানিতে প্রথমবারের মতো ইসলামের নামে ট্রেনে কুঠার হামলার মাধ্যমে সন্ত্রাসের সূচনা ঘটে। মিউনিখে শুক্রবারের হামলাকারীর সঙ্গে এখনও কোনো ইসলামী জঙ্গি সংগঠনের যোগসূত্র পুলিশ স্বীকার করেনি। যদিও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদ একে একটি ‘সন্ত্রাসী হামলা’ যা জার্মানিসহ ইউরোপে ভীতি ছড়ানোর জন্য চালানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন। এদিকে, বৃটেনের ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাভারিয়াতে ট্রেনে এক কিশোর উদ্বাস্তুর কুঠার হামলা থেকে মিউনিখের শপিংমলে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় এটা স্পষ্ট যে, জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল এতোদিন তার অনুসৃত যে মহা অভিবাসন পরিকল্পনার ব্যাপারে আস্থাশীল ছিলেন, এখন প্রমাণিত যে, সেটা ততোটা ত্রুটিমুক্ত ছিলো না। ডেইলি এক্সপ্রেস বলেছে, মিউনিখবাসী আজ শোক প্রকাশ করতে গিয়ে মার্কেলের ওপর ক্ষোভে ফেটে পড়েছে। জার্মান চ্যান্সেলর আলপ্স-এ তার অবকাশ সংক্ষিপ্ত করে বার্লিনে ফিরে এক বিবৃতিতে বলেছেন, যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের জন্য আমরা অত্যন্ত ব্যথিত চিত্তে গভীর শোক প্রকাশ করছি। এ হামলার নেপথ্যের কারণ আমরা খুঁজে বের করবোই। বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী জার্মানির বৃহত্তম জঙ্গি হামলার স্মৃতি এখনও অটুট। অলিম্পিয়া স্টেডিয়ামের কাছেই মিউনিখ স্টেডিয়াম। ১৯৭২ সনে অলিম্পিক চলাকালে বৃহত্তম জঙ্গি হামলা হয়েছিল। ১১ জন ইসরাইলি অ্যাথলেটসকে পণবন্দি করেছিল ফিলিস্তিনি জঙ্গিরা। কমান্ডো অপারেশন চালিয়ে সবাইকে মেরে ফেলা হয়। এরসঙ্গে একজন জার্মান পুলিশও মারা যান। সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা