আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে এক প্রতিবাদ সমাবেশে হামলায় নিহত হয়েছে কমপক্ষে ৮০ জন, আহত হয়েছে ২৩০ জনেরও বেশি জন। কথিত ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিগোষ্ঠী দাবি করেছে, এ হামলার নেপথ্যে তারাই ছিল। এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা ও বিবিসি। খবরে বলা হয়েছে, আইএস’র সঙ্গে স¤পর্কিত আমাক বার্তাসংস্থা জানিয়েছে, আইএস’র দুই যোদ্ধা কাবুলে ‘শিয়া সমাবেশে বিস্ফোরন ঘটিয়েছে’।
কাবুলের দেহ মাজাং চত্বরে চালানো এ হামলার মূল লক্ষ্যবস্তু ছিল সংখ্যালঘু শিয়া হাজারা জনগোষ্ঠীর হাজার হাজার মানুষ। নতুন একটি বিদ্যুৎ লাইন নিয়ে তারা প্রতিবাদে নেমেছিলেন। এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে তালিবান। তালিবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ গণমাধ্যমে পাঠানো এক ইমেইলে জানান, তারা এ হামলার নেপথ্যে ছিলেন না।
প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে আইএস’র উপস্থিতি রয়েছে। কিন্তু এর আগে কখনই কাবুলে চালানো কোন হামলার দায় জঙ্গি সংগঠনটি স্বীকার করেনি। বিবিসি আফগানের এক প্রতিবেদক জানান, ঘটনাস্থলের সর্বত্র রক্ত আর লাশ। আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি বলেন, তিনি এ ঘটনায় ‘গভীরভাবে ব্যাথিত’। তিনি যোগ করেন, ‘প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার রয়েছে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করার। কিন্তু সুযোগসন্ধানী সন্ত্রাসীরা ভিড়ের মধ্যে ঢুকে এ হামলা চালায়। আহত করে নিরাপত্তা বাহিনীর কিছু সদস্য সহ বহু নাগরিককে হত্যা করে।’ তবে হামলার আগে কাবুল শহরের মূলকেন্দ্রের বিশাল অংশ প্রতিবাদ সভা উপলক্ষে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।
প্রতিবাদকারীদের হাতে ছিল ব্যানার। তারা ‘বৈষম্যের মৃত্যু হোক’ বলে শ্লোগান দিচ্ছিল। তুর্কমেনিস্তান থেকে কাবুলে ৫০০ কিলোভোল্টের ট্রান্সমিশন লাইন শিয়া হাজারা-অধ্যুষিত বামিয়ান ও ওয়ারডাক প্রদেশের মধ্য দিয়ে যাবে না বলে প্রতিবারকারীরা ক্ষুদ্ধ ছিলেন। এ জনগোষ্ঠী মূলত দেশের মধ্যভাগে বসবাস করেন। তারা অনেকদিন ধরেই আফগানিস্তানে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করে আসছিলেন। বিশেষ করে, নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে তালিবান শাসনের সময় তাদের এ অভিযোগ ছিল বেশি। এ সম্প্রদায়ের অনেকে তখন পাকিস্তান, ইরান ও তাজিকিস্তানে পালিয়ে গিয়েছিলেন।
কাবুলের দেহ মাজাং চত্বরে চালানো এ হামলার মূল লক্ষ্যবস্তু ছিল সংখ্যালঘু শিয়া হাজারা জনগোষ্ঠীর হাজার হাজার মানুষ। নতুন একটি বিদ্যুৎ লাইন নিয়ে তারা প্রতিবাদে নেমেছিলেন। এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে তালিবান। তালিবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ গণমাধ্যমে পাঠানো এক ইমেইলে জানান, তারা এ হামলার নেপথ্যে ছিলেন না।
প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে আইএস’র উপস্থিতি রয়েছে। কিন্তু এর আগে কখনই কাবুলে চালানো কোন হামলার দায় জঙ্গি সংগঠনটি স্বীকার করেনি। বিবিসি আফগানের এক প্রতিবেদক জানান, ঘটনাস্থলের সর্বত্র রক্ত আর লাশ। আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি বলেন, তিনি এ ঘটনায় ‘গভীরভাবে ব্যাথিত’। তিনি যোগ করেন, ‘প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার রয়েছে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করার। কিন্তু সুযোগসন্ধানী সন্ত্রাসীরা ভিড়ের মধ্যে ঢুকে এ হামলা চালায়। আহত করে নিরাপত্তা বাহিনীর কিছু সদস্য সহ বহু নাগরিককে হত্যা করে।’ তবে হামলার আগে কাবুল শহরের মূলকেন্দ্রের বিশাল অংশ প্রতিবাদ সভা উপলক্ষে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।
প্রতিবাদকারীদের হাতে ছিল ব্যানার। তারা ‘বৈষম্যের মৃত্যু হোক’ বলে শ্লোগান দিচ্ছিল। তুর্কমেনিস্তান থেকে কাবুলে ৫০০ কিলোভোল্টের ট্রান্সমিশন লাইন শিয়া হাজারা-অধ্যুষিত বামিয়ান ও ওয়ারডাক প্রদেশের মধ্য দিয়ে যাবে না বলে প্রতিবারকারীরা ক্ষুদ্ধ ছিলেন। এ জনগোষ্ঠী মূলত দেশের মধ্যভাগে বসবাস করেন। তারা অনেকদিন ধরেই আফগানিস্তানে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করে আসছিলেন। বিশেষ করে, নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে তালিবান শাসনের সময় তাদের এ অভিযোগ ছিল বেশি। এ সম্প্রদায়ের অনেকে তখন পাকিস্তান, ইরান ও তাজিকিস্তানে পালিয়ে গিয়েছিলেন।