সম্পদাকীয়; ছেলে দন্ডিত। মাকেও বাসা ছাড়তে হচ্ছে!

Slider টপ নিউজ ফুলজান বিবির বাংলা রাজনীতি সম্পাদকীয়

Tarek-3

 

গুলশান ট্রাজিডির পর পরবর্তি সতর্কতামুলক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কুটনৈতিক জোন রাজনীতিমুক্ত রাখার ঘোষনা দিয়েছে সরকার।  এই ঘোষনা বাস্তবায়নের জন্য ইতোমধ্যে ডিএমপির কমিশনার কিছু আগাম ঘোষনা দিয়েছেন। এই ঘোষণার ফলে এক সপ্তাহের মধ্যে গুলশান ও বানানী এলাকায় গণপরিবহন নিষিদ্ধ হচ্ছে। সরকার নির্ধারিত ২০টি বিশেষ বাস ও বিশেষ রঙের রিক্সা যাতায়াত করবে ওই এলাকায়। ডিএমপি কমিশনার যা বলেছেন, তাতে অনেকটাই পরিস্কার হয়েছে যে, বেগম জিয়া গুলশান এলাকায় বাসা নিয়ে থাকতে পারছেন না। তাকে কুটনৈতিক জোনের বাইরে যেতে হবে। গুলশান এলাকার বাসা ছাড়লে যদি আর গুলশানের মত ঘটনা না হয় তাহলে বেগম জিয়াকে এখনি গুলশানের বাসা ছেড়ে দেয়া উচিত।

ইতিহাস বলছে, আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ঢাকা সেনানিবাস এলাকার বাসা থেকে বেগম জিয়াকে বের করে দেয়া হয়। তারপর গুলশানের বর্তমান ভাড়া বাসায় উঠেন বেগম জিয়া। এরপর সরকারের একাধিক মন্ত্রী ও এমপি সহ দায়িত্বশীলরা দাবি করেছেন, বেগম জিয়াকে গুলশান এলাকা থেকে বের করে দেয়া হবে। সরকারের বর্তমান মন্ত্রী শাহজাহান খান বেগম জিয়াকে বাসা থেকে বের করার দাবিতে বাসার সামনে ভিন্ন অজুহাতে মানব বন্ধনও  সড়ক অবরোধ করেছেন। ওই কর্মসূচিতে বোমা বিষ্ফোরণও হয়েছে। আর ওই ঘটনায় বেগম জিয়ার নামে মামলাও হয়েছে। এরপর গুলশান ট্রাজিডি হওয়ার ফলে সরকারের একটি দাবি পূরণ হতে চলছে বলেই মনে হচ্ছে।

বিএনপির আমলে গণভবন থেকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে বের করে দেয়া হয়েছিল। এর প্রতিশোধ হিসেবে সেনানিবাস এলাকা থেকে বেগম জিয়াকে বের করা হয়েছে বলে জনশ্রুতি আছে। যদি তাই হয় তবে গুলশানের ভাড়া বাসা থেকে বের করা হচ্ছে কিসের প্রতিশোধ হিসেবে? তবে তা যদি সার্বিক নিরাপত্তার জন্য হয়ে থাকে তবে আপত্তি নেই। আর যদি রাজনৈতিক কারণে গুলশানের ঘটনাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয় তবে সরকারের জন্য তেমন সুখকর হবে না। যা পরবর্তি সময় সরকারের বিরুদ্ধে একটি ইস্যও হতে পারে।

এদিকে বৃহসপতিবার বেগম জিয়া ছেলে তারেক রহমানের ৭ বছরের কারাদন্ড ও ২০ কোটি টাকা জড়িমানা করেছে উচ্চ আদালত। আর একই দিনে ডিএমপি কমিশনার যে ঘোষণা দিলেন তাতে মনে হচ্ছে গুলশানের বাসা ছাড়ার জন্য বেগম জিয়াকে প্রস্তুতি নেয়া উচিত। একই দিনে কাকতালিয়ভাবে দুটি ঘটনা রাজনীতিতে নতুন কোন মোড় নিয়ে আসছে কিনা তা সময়ই জানিয়ে দেবে। তবে এই টুকু বুঝা যায় গুলশান ট্রাজিডি রাজনৈতিক ঢাল হচ্ছে এতে তেমন কোন সন্দেহ মনে হয় নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *