প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শুধু হামলাকারী জঙ্গী-সন্ত্রাসী নয়, পর্দার আড়ালে থেকে কারা পরিকল্পনা করছে, মদত দিচ্ছে, প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র দিচ্ছে সে দেশী-বিদেশী যেই-ই হোক না কেন সবাইকে খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। যেহেতু এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সমর্থন আমাদের রয়েছে, তাই সবাইকে খুঁজে বের করা কোন কঠিন হবে না, সময়ের ব্যাপার মাত্র। সবাইকে ধরে আমরা অবশ্যই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে পারবো।
বুধবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত ত্রিশ মিনিটের প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারী দলের এমপি গোলাম দস্তগীর গাজীর সম্পুরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমন কাপুরুষোচিত অমানবিক হামলার ঘটনা ছিল কল্পনাতীত। যারা বাংলাদেশের উন্নয়ন চায় না, ভাল চায় না, স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না- তারাই এ ধরণের হামলা চালাচ্ছে। তিনি বলেন, এই হামলার পর বিদেশী রাষ্ট্রের প্রত্যেকে নিন্দা জানিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলায় পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আমাদের পাশে আছে, এসব সন্ত্রাসী হামলা মোকাবিলায় সব ধরনের সহযোগিতারও আশ্বাস দিয়েছেন। এ কারণে হামলার নেপথ্যে দেশী-বিদেশী যেই জড়িত থাকুক না কেন, তাদের খুঁজে বের করা সময়ের ব্যাপার। গুলশানে আর্টিজান রেঁস্তোরায় সন্দেহজনক হামলাকারীদের সনাক্ত করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে সংসদ নেতা বলেন, হামলাকারী বেশ কয়েকজন মারা গেছে। কয়েকজন সন্দেহভাজনের ভিডিওচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে ইতোমধ্যে সনাক্তও করা হয়েছে। বাকিদের সনাক্ত করতে সবার সহযোগিতা চাই। কেউ সন্দেহভাজনদের সনাক্ত করতে পারলে সঙ্গে সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। গুলশান ও শোলাকিয়ায় সন্ত্রাসী হামলা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্বমন্দার মধ্যে বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে। অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলা করে আমরা বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে দ্রুত উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। সারাবিশ্বের সামনে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোলমডেল। ২০১৪ ও ২০১৫ সালে বিএনপি-জামায়াত জোটের জ্বালাও-পোড়াও, ধ্বংসযজ্ঞ ও শত শত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা তুলে ধরে বলেন, এসব ঘটনা বাংলাদেশকে প্রশ্নের মুখোমুখি পড়তে হয়।
তিনি বলেন, ওইসব ঘটনা দ্রুত মোকাবিলা করে সুশাসনের মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি যখন উজ্জ্বল করেছি, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যখন আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে-তখন আবারও এই হামলার ঘটনা ঘটলো। মেট্টোরেলের জাপানি পরামর্শক, গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ইতালীর নাগরিকসহ বেশ ক’জন বিদেশী নাগরিককে হত্যা করা হলো। তবে জড়িতরা কেউ রেহাই পাবে না। তাদের আমরা শাস্তির মুখোমুখি করবোই ইনশাল্লাহ।
তিনি বলেন, ওইসব ঘটনা দ্রুত মোকাবিলা করে সুশাসনের মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি যখন উজ্জ্বল করেছি, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যখন আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে-তখন আবারও এই হামলার ঘটনা ঘটলো। মেট্টোরেলের জাপানি পরামর্শক, গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ইতালীর নাগরিকসহ বেশ ক’জন বিদেশী নাগরিককে হত্যা করা হলো। তবে জড়িতরা কেউ রেহাই পাবে না। তাদের আমরা শাস্তির মুখোমুখি করবোই ইনশাল্লাহ।