প্রধানমন্ত্রীর নাখোশ এড়াতে সংবাদের ক্ষেত্রে নীতিমালা দাবি

Slider জাতীয় বিনোদন ও মিডিয়া রাজনীতি সম্পাদকীয়

file

 

আজ রোববার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।  মঙ্গোলিয়ার উলানবাটোরে সাম্প্রতিক এশিয়া-ইউরোপ (আসেম) শীর্ষ সম্মেলন সম্পর্কে তুলে ধরতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ শেষে প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন।

মতবিনিময় সভা বিশ্লেষন করে দেখা যায়, খুঁটিনাটি সংবাদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী অসন্তোষ্ট। আর কোন লাইফ প্রোগ্রাম প্রচারে তিনি আগেই রাগ করেছেন। আজও কৌশলে তা করেছেন। গুলশানের ঘটনায় আন্তর্জাতিক গনমাধ্যমে বাংলাদেশের ওই সংবাদটি ফলাও করে প্রচারের নেপথ্যে বাংলাদেশী গনমাধ্যমের অতিউৎসাহী হওয়াকে দায়ী করেন।

চট্রগ্রামের পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যা মামলার অগ্রগতি জানতে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী মোটামোটি ক্ষিপ্ত হয়েছেন। তিনি তার পিতাকে স্বপরিবারে হত্যা মামলার বিচার দীর্ঘ সময় পর পাওয়ার সঙ্গে তুলনা করেছেন মিতু হত্যা মামলা। আর এই সংক্রান্ত প্রশ্ন করায় ওই সাংবাদিকের প্রতিও তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

সম্প্রতি ৩ জঙ্গীর বিচারে  বিলম্ব সম্পর্কে  প্রধানমন্ত্রী প্রশ্নকারী সাংবাদিকের প্রশ্নের বরাত দিয়ে বলেন, প্রশাসনের মধ্যে ভুত থাকতেই পারে। আর ওই ভুত নিয়ে কথা বললে আপনারা (সাংবাদিকেরা) রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলবেন।

সব মিলিয়ে আজকের সাংবাদিক সম্মেলনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পরোক্ষভাবে যা বলতে চেয়েছেন তা হল, কোন ঘটনার খুঁটিনাটি তথ্য সংবাদকর্মীরা তুলে আনলে তদন্তের ক্ষতি হয়। তাই জনৈক এক সাংবাদিক সংবাদ প্রকাশ ও প্রচারের ক্ষেত্রে একটি নীতিমালা দেয়ার দাবি করেন।

জনগনের দাবি,  আমাদের সংবিধান এখন পুরোনো হয়ে গেছে। কাটাছিঁড়া করে সংবিধানকে অনুপযোগী করে ফেলা হয়েছে। তবুও সংবিধানে গণমাধ্যমের যে টুুকু স্বাধীনতা আছে তার অনেক অংশ আইন করে রহিত করা হয়েছে। এছাড়া বলা যায়, বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় সকল গণমাধ্যম মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কৃপায়  চলছে।

সুতরাং সংবিধান ও  আইনে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যে টুকু অবশিষ্ঠ আছে তার মধ্যে আর কতটুকু রহিত করলে যে কোন ঘটনার সঠিক তদন্তে ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে না সেবিষয়ে সত্যিই একটি নীতিমালা দরকার। তাহলে কোন দিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে গণমাধ্যমের ভুমিকা নিয়ে আর নাখোশ হতে হবে না। তাই সংবাদ প্রকাশ ও প্রচারের ক্ষেত্রে জনৈক সাংবাদিকের নীতিমালা করার দাবি যৌক্তিক ও সময় উপযোগী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *