আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক এমপি আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলার ১১ আসামিকে বেকসুর খালাসের রায় বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ।
আজ রোববার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
এর আগে ২১ জুন আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট হাইকোর্টের বেকসুর খালাসের আদেশ গত ১৪ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করেছিল। ১৪ জুলাই বিষয়টি উত্থাপিত হলে আজ শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়।
আসামিরা হল আমির হোসেন, জাহাঙ্গীর ওরফে বড় জাহাঙ্গীর, ফয়সাল (পলাতক), লোকমান হোসেন ওরফে বুলু, রনি মিয়া ওরফে রনি ফকির (পলাতক), খোকন (পলাতক), দুলাল মিয়া, রাকিব উদ্দিন সরকার ওরফে পাপ্পু, আইয়ুব আলী, জাহাঙ্গীর (পিতা মেহের আলী) ও মনির।
এক যুগ আগে গাজীপুর-২ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যার দায়ে ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে গত ১৫ জুন রায় দেয় হাইকোর্ট। মামলায় আসামিদের ডেথ রেফারেন্স, আপিলের উপর শুনানি শেষে এ রায় ঘোষণা করা হয়। বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ জনাকীর্ণ আদালতে চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় ঘোষণা করে।
রায়ে আসামিদের মধ্যে ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল, আটজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১১ জন খালাস পেয়েছে। এছাড়া দু’জন বিচার চলাকালে মারা যাওয়ায় তাদের আপিল নিস্পত্তি করে দেয়া হয়েছে। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত অপর একজন পলাতক আসামির আপিল না থাকায় তার ব্যাপারে আদালত কোনো রায় দেয়নি।
নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত ২২ আসামির মধ্যে হাইকোর্টে মৃত্যুদণ্ড থাকা ছয় আসামি হল নুরুল ইসলাম সরকার, নুরুল ইসলাম দিপু, মাহবুবুর রহমান মাহবুব, শহীদুল ইসলাম শিপু, হাফিজ ওরফে কানা হাফিজ এবং সোহাগ ওরফে সরু।
২০০৪ সালের ৭ মে গাজীপুরের টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জনসভা চলাকালে আহসান উল্লাহ মাস্টারকে একদল সন্ত্রসী প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় তার সঙ্গে আরো খুন হন ওমর ফারুক রতন। এ ঘটনার পরদিন আহসানউল্লাহ মাস্টারের ভাই মতিউর রহমান বাদী হয়ে টঙ্গী থানায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় তদন্ত শেষে ২০০৪ সালের ১০ জুলাই ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। একই বছরের ২৮ অক্টোবর ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। বিচারিক আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ৩৪ জন এবং আসামিপক্ষে দু’জন সাক্ষ্য দেন।