তুরস্ক থেকে পালিয়েছেন সেনাবাহিনীর দু’জন মেজর, একজন ক্যাপ্টেন ও ৫ জন প্রাইভেট। জনতার প্রতিরোধে যখন অভ্যুত্থান চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায় তখনই তারা সামরিক একটি হেলিকপ্টারে পাড়ি জমান গ্রিসে। সেখানে গিয়ে তারা আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন। কিন্তু সেদেশের সরকারের তরফ থেকে কোন সদুত্তর তারা পান নি। গ্রিসের প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্বীকার করেছেন যে, আলেকজানন্দ্রোপোলিসে তারা অবতরণ করেছে। এরপর পরই অবৈধভাবে প্রবেশের অভিযোগে ওই হেলিকপ্টারের আরোহীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভ্যুত্থান চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যাওয়ার পর গ্রিসে পরিস্থিতি এখন ঘোলাটে। এরই মধ্যে ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে শীর্ষ দু’জন সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন জেনারেল আদেম হুদুতি ও লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইরদাল ওজতুরক। সেনা প্রধানের পরেই এ দু’জনের অবস্থান। এ ছাড়া ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে সেনা বাহিনীর কমপক্ষে ২৮৩৯ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ ২৭৪৫ জন বিচারককে আটক করার নির্দেশ দিয়েছে। ওদিকে দেশের দক্ষিণে অবস্থিত বিমানঘাঁটি থেকে মার্কিন সেনাবাহিনীর ফ্লাইন উড্ডয়ন করতে দেয় নি তুরস্ক। এখান থেকে আইসিসের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় যুক্তরাষ্ট্র। তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ওই বিমান ঘাঁটি থেকে অভ্যুত্থান ষড়যন্ত্রকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, অভ্যুত্থান বিরোধী অভিযান শেষ হয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই সন্ত্রাস বিরোধী সহযোগিতা চালু করা হবে। অর্থাৎ এর পরেই ওই বিমান ঘাঁটি থেকে মার্কিন যুদ্ধবিমান উড্ডয়ন করতে দেয়া হবে। ওদিকে যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত তুরস্কের ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনকে দেশে ফেরত পাঠাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কাছে আহ্বান জানিয়েছেন। তার অভিযোগ তুরস্কের অভ্যুত্থান চেষ্টার নেপথ্যে রয়েছেন গুলেন। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গুলেন। তিনি উল্টো এরদোগান সরকারের বিরুদ্ধেই অভিযোগ এনেছেন। ওদিকে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম বলেছেন, অভ্যুত্থান ষড়যন্ত্রকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য তুরস্ক মুত্যৃদণ্ড পুনর্বহাল করার বিষয়টি বিবেচনা করবে।