সংসদ রিপোর্টার
গ্রাম বাংলা ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আপিল বিভাগে যে রায় হয়েছে তা কারও কাক্সিক্ষত ছিল না। তার ফাঁসির রায় হলেই মানুষ খুশি হতো। তিনি নিজেকে ধর্মপ্রচারক বানিয়েছেন। কিন্তু মানুষ এখন আর তাকে তা মনে করবে না। সাঈদী একজন নারী নির্যাতনকারী, খুনি, যুদ্ধাপরাধী ও জঘন্য লোক হিসেবেই মানুষের কাছে আজীবন চিহ্নিত হয়ে থাকবে। মুখে সে ভাল কথা বললেও বাস্তবে সে কত খারাপ লোক, সেটি অন্তত প্রমাণ হলো। তিনি আরও বলেন, বিচারবিভাগ স্বাধীন, তারা তাদের মতো রায় দিয়েছেন। জামায়াতের হরতালের সমালোচনা করে তিনি বলেন, কার বিরুদ্ধে এই হরতাল? রায়ে কি তারা খুশি হয়নি? তাহলে কি ফাঁসির রায় হলে তারা খুশি হতো? শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে, বাকিদেরও হবে, জাতি কলঙ্ক মুক্ত হবে। দশম জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনের সমাপনি বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। তিনি বুধবার সংসদে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বিলটির ওপর আলোচনা করে ভোট দিয়ে সর্বসম্মতিক্রমে তা পাস করায় সরকারি ও বিরোধী দলসহ সকল সংসদ সদস্যদের ধন্যবাদ জানান। শেখ হাসিনা বলেন, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলছেন। কিন্তু এই সংশোধনীর মাধ্যমে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও বিচারকদের মর্যাদা-সম্মান আরও সুরক্ষিত হয়েছে। আমরা সেটি নিশ্চিত করলাম। বিচারকদের অপসারণে ’৭২ এর সংবিধানে যা ছিল, সেটিই হুবহু ফিরিয়ে আনা হয়েছে। আগে যেখানে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের তিনজন সদস্য বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করতেন, এখন সেখানে সংসদের দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের ভোটে প্রস্তাব পাস হলেই কেবল তা রাষ্ট্রপতির কাছে যাবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জাতির জনকের কন্যা। দেশের প্রতি আমার দায়িত্ববোধ রয়েছে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমি রাষ্ট্র পরিচালনা করছি। দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই আমাদের মূল লক্ষ্য। তিনি আরও বলেন, আমাদের সরকার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। খাদ্য ভেজাল ও ফরমালিনমুক্ত করার ক্ষেত্রেও আমরা বসে নেই, আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরাই প্রথম এ নিয়ে কাজ করছি।