ঢাকা: হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি দ্রুত সরানোর কার্যক্রমে তেমন কোনো অগ্রগতি নেই বলে মন্তব্য করেছেন নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে টাস্কফোর্সের সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি। বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালু, তুরাগ ও দেশর অন্য গুরুত্বপূর্ণ নদ-নদীর নাব্যতা এবং নদীর স্বাভাবিক গতিধারা অব্যাহত রাখা সংক্রান্ত এ টাস্কফোর্সের ৩২তম সভায় শাজাহান খান সভাপতিত্ব করেন।
নৌমন্ত্রী বলেন, হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি দ্রুত সরানোর জন্য আমরা কাজ শুরু করেছিলাম। কিন্তু এই কার্যক্রমের তেমন কোনো অগ্রগতি নেই। এ জন্য টাস্কফোর্সের সদস্যরা দ্রুত প্রকল্প পরিদর্শন করবেন।
নদীর নাব্যতা ও গতিধারা অব্যাহত রাখা এবং নদী দখল ও দূষণরোধে সরকার জিরো টলারেন্সে বলেও মত দেন শাজাহান খান।
তিনি আরও বলেন, হাজারীবাগ ট্যানারি সরানোর জন্য ইতোমধ্যে ১৩৪টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ৩৪টিতে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য চাহিদাপত্র দেওয়া হয়েছে। এই বছরের মধ্যে ৩০টি ট্যানারি হাজারীবাগ থেকে সরে যাবে। পাবনা, নওগাঁ ও রাজশাহীতে ১২০ কিলোমিটার নদী ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে চারটি বাঁধের মধ্যে দু’টি বাঁধ অপসারণ করেছি। আরও দু’টি অপসারণ করা হবে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন জায়গায় আমরা কিছু ইকো পার্ক করেছি। শ্যামপুর ও কাঁচপুরে ইকো পার্ক করেছি। সেখানে প্রচুর লোক যাচ্ছেন। ঢাকার ১২০ কিলোমিটার নদীর দুই পারে ২৪০ কিলোমিটার ওয়ার্কওয়ে নির্মাণ করা হবে।
শাজাহান খান জানান, সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জনিয়ার মোশারর হোসেন শিল্প প্রতিষ্ঠানের ও বাসা বাড়ির বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থা থাকতে হবে বলে প্রস্তাব করেছেন।