আজ বুধবার ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন তেরেসা মে। লৌহমানবী খ্যাত মার্গারেট থ্যাচারের পর তিনি প্রথম নারী, যিনি ব্রিটেনে সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নিচ্ছেন।
গত ২৩ জুন অনুষ্ঠিত গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বের হয়ে যাওয়ার পক্ষে রায় যাওয়ার পরপরই পদত্যাগের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। অক্টোবরে তার বিদায় নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নতুন নেতা নির্বাচন দ্রুত সম্পন্ন হওয়ায় ক্যামেরন বিদায় নিচ্ছেন বুধবার। ডেভিড ক্যামেরনের উত্তরসূরি হওয়ার দৌড় থেকে সর্বশেষ প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যান্ড্রে লিডসম সরে দাঁড়ানোর ঘোষণার পরই স্পষ্ট হয়ে যায় যে, ক্যামেরনের পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তেরেসা মে-ই হচ্ছেন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।
আজ বুধবার ১০নং ডাউনিং স্ট্রিটে বসছেন দেশের দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী। ১৯৯০ সালের ২২ নভেম্বর পদত্যাগ করেছিলেন দেশের একমাত্র নারী প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার। তার পর দু’দশক পেরিয়ে গেছে। আর কোনো নারী প্রধানমন্ত্রী পায়নি ব্রিটেন। এবার টেরেসা সেই সুযোগই পেতে চলেছেন।
ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নতুন নেতা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর তেরেসা মে একটি ‘উন্নততর যুক্তরাজ্য’ গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তেরেসা মে ইইউতে থাকার পক্ষে প্রচারণা চালালেও অভিবাসী প্রশ্নে কঠোর ৫৯ বছর বয়সী তেরেসা। পড়াশোনা করেছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৯৭ সাল থেকে এমপি ও ছয় বছর ধরে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বলছে, নতুন প্রধানমন্ত্রীর সামনে এখন অনেক চ্যালেঞ্জ। ওয়েস্টমিনস্টার থেকে অবশ্য বলা হচ্ছে, কাজটা ততটা কঠিন হবে না। কারণ জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল বা ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোয়াঁ ওলাঁদের মতো ইইউ নেতার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তেরেসার। যদিও মেরকেল আশা প্রকাশ করেছেন, তেরেসা মের নতুন সরকার দ্রুতই ইইউর সঙ্গে সম্পর্ক স্পষ্ট করে নেবে।