শক্তিশালী ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

Slider জাতীয়

0ce1d056b6667d0f5efe745f80fa12be-Pakhir-Chokhe--108-

শক্তিশালী ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের পূর্বাঞ্চল। এই ভূমিকম্প আঘাত হানলে এতে ১৪ কোটি মানুষের জীবন বিপদের মুখে পড়বে। গতকাল সোমবার এক গবেষণায় এ তথ্য জানানো হয় বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়। গবেষণা প্রতিবেদনটি নেচার জিওসায়েন্স জার্নালে প্রকাশ করা হয়।

গবেষক দলের প্রধান নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ববিদ মাইকেল স্টেকলার বলেন, ওই ধরনের ভূমিকম্প কবে ঘটতে পারে, সে পূর্বাভাস আরও গবেষণা না করে দেওয়া সম্ভব নয়।

গবেষণাটি প্রতিবেদন বলছে, বাংলাদেশ ও ভারতের পূর্ব যে অংশ সম্ভাব্য এই ভূমিকম্পের কেন্দ্র হতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, তার ১০০ কিলোমিটার ব্যাসের মধ্যে প্রায় ১৪ কোটি মানুষের বসবাস।

গবেষণা কর্তৃপক্ষ জানায়, বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ ও অন্যতম দরিদ্র এই অঞ্চলে এ ধরনের একটি ভূমিকম্প মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনবে। এমন শক্তিশালী ভূমিকম্প হলে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা ভবন, ভারী শিল্প, বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্রগুলো ধ্বংসের মুখে পড়তে পারে বলে গবেষকেরা আশঙ্কা করছেন।

গবেষক দলের আরেক সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হুমায়ুন আখতার বলেন, গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় ১৯ কিলোমিটার গভীর পলি জমে বাংলাদেশের যে ভূখণ্ড সৃষ্টি হয়েছে, তা সেই ভূমিকম্পের প্রভাবে জেলাটিনের মতো কেঁপে উঠতে পারে এবং কিছু কিছু জায়গায় তরলে পরিণত হয়ে ইমারত, রাস্তাঘাট আর মানুষের বসতি গ্রাস করতে পারে। এ গবেষণায় প্রায় ৬২ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকাকে এই ভূমিকম্পের ঝুঁকির আওতায় বলা হয়েছে।
অধ্যাপক আখতার রয়টার্সকে বলেন, তেমন মাত্রার ভূমিকম্প সত্যিই হলে তার ক্ষয়ক্ষতি এতটাই ভয়াবহ হতে পারে যে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা হয়তো বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠবে। ২০০৪ সালে যে ফল্ট লাইনের ভূমিকম্পে সৃষ্ট সুনামিতে ২ লাখ ৩০ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছিল, সেই একই ফল্ট লাইনে নতুন এই ভূমিকম্পের আশঙ্কা দেখছেন বিজ্ঞানীরা। ১০ বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করতে গবেষকেরা কম্পিউটার মডেল ব্যবহার করেছেন। সেই তথ্যের ভিত্তিতে তাঁরা দেখেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের পূর্ব অংশের ভূগাঠনিক প্লেট উত্তর-পূর্ব দিকে সরে গিয়ে মিয়ানমারের ভূগাঠনিক প্লেটে চাপ সৃষ্টি করছে, যাতে সৃষ্টি হচ্ছে অস্থিরতা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *