সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম ছাড়লেন এ কে খন্দকার

Slider গ্রাম বাংলা জাতীয় টপ নিউজ

33a6edcd3fcae2b6a20e494d75ae11a9-Van-Gaal-image
গ্রাম বাংলা ডেস্ক: এ কে খন্দকারসেক্টর কমান্ডারস ফোরাম ছাড়লেন মুক্তিযুদ্ধের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ ও সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকার।

বুধবার তিনি সংগঠনের চেয়ারম্যান ও প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।

সন্ধ্যায় সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হারুন হাবীবের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এ পদত্যাগের কথা জানান এ কে খন্দকার। তাঁর পদত্যাগপত্র পাওয়ার বিষয়টি  নিশ্চিত করেছেন হারুন হাবীব।
সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম সূত্র জানায়, পদত্যাগপত্রে এ কে খন্দকার বলেছেন, তিনি ‘সজ্ঞানে ও সুস্থ মস্তিষ্কে’ সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করছেন। একই সঙ্গে সংগঠনটির সদস্য পদ থেকেও তিনি নাম প্রত্যাহার করছেন। বয়সের কারণে ফোরামের চেয়ারম্যান হিসেবে সার্বিক দায়িত্ব পালন করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠছে না, এজন্যই তিনি পদত্যাগ করছেন। শারীরিকভাবে সক্ষম এমন কোনো ব্যক্তিকে ফোরামের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত করার জন্যও তিনি অনুরোধ করেছেন।

জাতির জন্ম ইতিহাস সত্য ও তথ্যনির্ভর হওয়া উচিত

জানতে চাইলে আজ রাত আটটার দিকে হারুন হাবীব বলেন, ‘এ কে খন্দকারের লেখা ১৯৭১: ভেতরে বাইরে বইটি প্রকাশের পর আনুষ্ঠানিকভাবে সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের পক্ষে আমরা ওই বইয়ের বক্তব্য বিভ্রান্তিকর বলে বিবৃতি দিয়েছি। এরপর আগামী শুক্রবার তাঁর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আমাদের নির্বাহী পর্ষদের সভা হওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যেই সন্ধ্যায় এ কে খন্দকারের পদত্যাগপত্র পেলাম। আমি এটি শুক্রবারের সভায় উপস্থাপন করব।’

সম্প্রতি প্রথমা প্রকাশনী থেকে এ কে খন্দকারের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসভিত্তিক বই ১৯৭১: ভেতরে বাইরে প্রকাশিত হয়। এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাতই মার্চের ভাষণ ও স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে কিছু মন্তব্যের কারণে বইটি বিতর্ক তৈরি করে।
খন্দকারের বই বিভ্রান্তি ছড়ানোর অস্ত্র হতে পারে

সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম বিবৃতিতে জানায়, এ কে খন্দকার তাঁর বইতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাতই মার্চের ভাষণ সম্পর্কে যে দাবি করেছেন, তা বাস্তবতাবিবর্জিত। স্বাধীনতার ৪৩ বছর পর এমন বিভ্রান্তিকর বক্তব্যে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম হতবাক। বইতে লেখা এ কে খন্দকারের বক্তব্য ও মন্তব্যের সঙ্গে ফোরামের নীতি, আদর্শ ও ঐতিহাসিক সত্য উপলব্ধির মিল নেই।

১৯৭১ সালে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকার মুক্তিযুদ্ধের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীন বাংলাদেশে তিনি বিমানবাহিনীর প্রধান ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি বীর উত্তম খেতাব ও ২০১১ সালে স্বাধীনতা পদক পান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *