আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তারা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তিসহ আলেম-ওলামাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, অতীতে জনগণের ঐক্যবদ্ধ শক্তিতেই খালেদা জিয়ার আগুনসন্ত্রাস বন্ধ করা গেছে। এবারও জনগণের শক্তিতেই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদী হামলা প্রতিহত করা হবে।
১৪ দলের মুখপাত্র ও আওয়ামী লীগ সভাপতিম-লীর সদস্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, জাসদের সভাপতি তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ, শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদার, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নেতা ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকি, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব ওমর ফারুক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশিদ, চিত্রনায়ক ফারুক, উদীচীর নেতা মাহমুদ সেলিম প্রমুখ।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, আমরা গণতান্ত্রিক দল। আমরা যদি জনগণের কাছে উন্নয়ন ও গণতন্ত্র নিয়ে যেতে পারি তাহলেই আমরা সফল হব।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, জনগণ জঙ্গি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আছে। সরকার জনগণের শক্তিতে বলীয়ান হয়েই জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদ রুখবে।
সোমবারের সমাবেশ সফল করতে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ওইদিন সবাই জাতীয় পতাকা হাতে শহীদ মিনারে আসবেন। লক্ষ মানুষ প্রতিরোধ সমাবেশ করে বিশ্বকে দেখিয়ে দেবেন, বাংলার মানুষ সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদের সমর্থন করে না।
হাসানুল হক ইনু বলেন, অতীতে আমরা খালেদা জিয়ার আগুনসন্ত্রাস বন্ধ করতে পেরেছি। এখনও এ ধরনের হামলা প্রতিহত করতে পারব।
ফরিদ উদ্দিন মাসউদ বলেন, শোলাকিয়া ও গুলশানে হামলাকারীরা ধর্মের নামে অপব্যাখ্যা দিয়ে ইসলামের অপব্যবহার করছে। ওদের মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি দিলে তো তারা খুশি। কেননা তারা মনে করবে এতে তাদের বেহেশতে যাওয়ার পথ সহজ হলো। তাই তাদের মনের মধ্যে ইসলামের যে অপব্যাখ্যা গেঁথে গেছে, বুদ্ধিবৃত্তিক ব্যাখ্যা দিয়ে তা থেকে তাদের ফেরাতে হবে।