গ্রাম বাংলা ডেস্ক: জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের মামলার আপিল আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে। আজ সুপ্রিম কোর্টে আপিল বিভাগ উভয় পক্ষের শুনানী গ্রহণ শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষামান রেখেন।
আপিল বিভাগে প্রথমে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন। তিনি মামলার অভিযোগ ও আইনী বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি তুলে ধরেন।
এরপর কামারুজ্জামানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এসএম শাহজাহান পাল্টা যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন।
কামারুজ্জামানের আইনজীবী এসএম শাহজাহান বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুাল-২ যে পাচঁটি অভিযোগে তাকে সাজা দিয়েছিল আমরা ওই রায়ের ক্রটিগুলো আদালতে দেখিয়েছি। ট্রাইব্যুনালের রায়ে যেসব ভুল রয়েছে তা কোর্টে তুলে ধরে রায় বাতিলের আবেতদন জানান। তিনি বলেন, আমরা আশা করি রায়ের এই গুরুত্বপূর্ণ ক্রটিগুলো আদালত বিবেচনায় নিবেন এবং আসামী খালাস পাবেন।
তিনি বলেন, সোহাগপুরের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল ২৫ জুলাই ১৯৭১ সালে। কিন্তু সাীরা জেরায় ভিন্ন ভিন্ন তারিখ উল্লেখ করেছেন। এতেই বোঝা যায় সাীরা মিথ্যা বলেছেন।
মামলার চার নম্বর অভিযোগের বিষয়ে বলেন, গোলাম মোস্তফা হত্যা সম্পর্কে রাষ্ট্রপরে সাী মোহন মুন্সি মিথ্যা স্যা দিয়েছেন।
এসএম শাহজাহান আরো বলেন, প্রিন্সিপাল সৈয়দ আবদুল হান্নানকে নির্যাতনের অভিযোগে কামারুজ্জামানকে সাজা দেয়া হয়েছে। অথচ প্রিন্সিপাল হান্নান জিবিত থাকার পরও তাকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়নি।
গত বছরের ৯ মে কামারুজ্জামানকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে ট্রাইব্যুনাল-২।
গত বছরের ৬ জুন ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে আপিল করেন কামারুজ্জামান।
গত ১৮ মে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে কামরুজ্জামানের মামলার আপিল শুনানি শুরু হয়। ট্রাইব্যুনালের রায়ে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আনা সাতটি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটিই সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হয়।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগের পুলিশের দায়ের করা মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুলাই কামারুজ্জামানকে গ্রেফতার করা হয়। ওই বছরের ২ আগস্ট তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার দেখানো হয়।
মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের পরিচিতি: পিতার নাম মরহুম ইনসান আলী সরকার। স্থায়ী ঠিকানা: গ্রাম- কুমড়ী মুদিপাড়া, ইউনিয়ন- বাজিতাখিলা, থানা ও জেলা- শেরপুর। তিনি ১৯৫২ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। কামারুজ্জামান ঢাকা কিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে প্রথম শ্রেণীতে এমএ পাস করেন। তিনি সাপ্তাহিক সোনার বাংলা পত্রিকার সম্পাদক। ও জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল।