কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের কাছে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দুই থেকে তিন জন অংশ নেয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তিনি বলেন, কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক ইদগাহ মাঠের কাছে পুলিশ চেক পোস্টে দুই-তিন জন সরাসরি হামলায় অংশ নেয়। তবে ঘটনাস্থলের আশপাশে তাদের কিছু সহযোগী থাকতে পারে।
তবে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোরশেদ জামিল বলেন, ‘হামলাকারী দুই জন ছিল। তাদের মধ্যে একজনের পরনে ফিরোজা কালারের পাঞ্জাবি-পাজামা ও আরেকজনের পরনে ঘিয়ে রঙের পাঞ্জাবি-পাজামা ছিল। তারা বয়সে তরুণ। দুই জনের হাতেই পিস্তল ছিল।’
তিনি বলেন, ‘চেক পোস্টে হামলা করেই তারা প্রথমে আজিমউদ্দীন স্কুলের আশপাশের বাড়িতে গিয়ে ঢুকে পুলিশের ওপর গুলি চালায়। এসময় পুলিশও পাল্টা অবস্থান নিয়ে গুলি করে। হামলার পর তারা পালানোর চেষ্টা করেনি। তারা শেষ পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে লড়াই করে। এতে এক হামলাকারী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় এবং অপর হামলাকারীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক করা হয়।’
গুলশানে হামলার রেশ কাটতে না কাটতেই বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের কাছে টহলরত পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় পুলিশের দুই সদস্য ও এক হামলাকারীসহ চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। আহতদের বেশিরভাগই পুলিশ।
নিহত দুই পুলিশ সদস্য হলেন- কনস্টেবল জহিরুল হক ও আনসারুল হক। নিহত হামলাকারীর পরিচয় পাওয়া যায়নি। এছাড়া এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঝর্ণা রানী ভৌমিক নামে এক নারীও নিহত হয়েছেন।
এর আগে ১ জুলাই রাতে রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার ঘটনা ঘটে। রাতভর জিম্মি ঘটনার পর সকালে কমান্ডো অভিযান চলে। এ ঘটনায় ২০ জিম্মি নিহত হন; যাদের বেশির ভাগই বিদেশি।
শোলাকিয়ার ঘটনায় এখন পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটজনকে আটক করা হয়েছে। তবে এখনও মামলা হয়নি।