গ্রাম বাংলা ডেস্ক: আপিল বিভাগের দেওয়া দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায় প্রত্যাখ্যান করে গণজাগরণ মঞ্চের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা শাহবাগে সড়ক অবরোধ করলে পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। জলকামান, টিয়ারসেল, রাবারবুলেট ও লাঠিচার্জ করে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় ইমরান এইচ সরকারসহ ২০ নেতাকর্মী আহত হন।
প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের আপিল বেঞ্চ বুধবার সকাল ১০টা ৫ মিনিটে এ রায় ঘোষণা করেন।
এই রায় প্রত্যাখ্যান করে ইমরান এইচ সরকারের নেতৃত্বাধীন গণজাগরণ মঞ্চ শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে। এতে ওই সড়ক দিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বেলা পৌনে ১২টার দিকে পুলিশ সড়ক থেকে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের হটিয়ে দিতে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশ মঞ্চের কর্মীদের ওপর জলকামান, রাবার বুলেট, টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে মঞ্চের কর্মীরা পিছু হটলে যান চলাচল শুরু হয়।
আহতদের মধ্যে গণজাগরণের মুখপাত্র ইমরান, বিন্দু (২২), তানজিন (২১), নাঈমুল হাসান (২০) ও মো. বাবুল হোসেন (২১) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ছাড়া সঙ্গীতা ইমাম, রতন দাস, আমিমুল, মুফাদ, রিংকুসহ আরও কয়েকজন আহত হন।
হামলা প্রসঙ্গে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে শাহবাগ থেকে তাদেরকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, এই রায় প্রত্যাখান করে মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেছেন, ‘এই রায়ে প্রমাণিত হলো জামায়াতের সঙ্গে সরকারের গোপন আঁতাত হয়েছে। এ রায় সমঝোতার ফসল।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা মুক্তিযুদ্ধ ও সংবিধানে আস্থা রাখে না তারাই এ ধরনের রায় দিয়েছে।’ এ রায়ের বিরুদ্ধে দেশের সর্বস্তরের মানুষকে আন্দোলনে নামার আহ্বান জানান ইমরান এইচ সরকার।
রায়ের ব্যাপারে গণজাগরণ মঞ্চের অপর অংশের মুখপাত্র কামাল পাশা চৌধুরী বলেন, ‘সবাই বলে, আদালতের বিরুদ্ধে কথা বলা যায় না। আদালত কি ঈশ্বরের তৈরি? মানুষ এই আদালত তৈরি করেছে। যে আদালত স্বাধীনতা বিরোধী রায় দেয় সে আদালত আমরা মানি না।’
এর আগে রায় প্রত্যাখ্যান করে ইমরান এইচ সরকারের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল শাহবাগ থেকে বের হয়। মিছিলটি দোয়েল চত্বরে এলে পুলিশ মিছিলে বাধা দেয়। পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড়ে গিয়ে তারা সড়ক অবরোধ করে। তখন ওই সড়ক দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।