দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর আবার এল খুশির ঈদ। পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঘরে ঘরে চলছে ঈদ উদযাপনের নানা আয়োজন। বুধবার বিকাল থেকেই শেজুড়ে বইছে ঈদের আমেজ। টিভি-বেতারে বাজতে শুরু করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুলের কালজয়ী সেই গানের সুর ‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এল খুশির ঈদ…।’ ধনী-গরিব, উচু-নিচু সবাই এক কাতারে দাঁড়ানোর দিন আজ। সকাল থেকে ঈদ উৎসবে সামিল হবেন দেশের সব ধর্মপ্রান মানুষ। রাজধানী ঢাকায় ঈদের প্রধান জামাত জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। তবে আবহাওয়া বৈরী থাকলে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সকাল ৯টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান জামাতে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদসহ মন্ত্রীপরিষদের সদস্য, রাজনীতিক এবং দেশি বিদেশি কূটনীতিকদের অংশ নেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ কারণে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে জাতীয় ঈদগাহের আশপাশে। জাতীয় ঈদগাহে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের শুধুই জায়নামাজ বহনের অনুমতি দিয়েছে পুলিশ। সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার ঘটনায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। ঈদের বৃহৎ জামাত অনুষ্ঠিত হবে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ময়দানে। ঈদ উপলক্ষে রাজধানীতে বনানী থেকে বঙ্গভবন পর্যন্ত প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপগুলো জাতীয় পতাকা এবং বাংলা ও আরবিতে ঈদ মোবারকখচিত ব্যানার দিয়ে সাজানো হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবনগুলোতে করা হবে আলোকসজ্জা।
ঈদ উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদসহ সব শীর্ষ রাজনীতিক পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ঈদ উপলক্ষে দৈনিক পত্রিকাগুলো ইতিমধ্যে প্রকাশ করেছে বিশেষ ক্রোড়পত্র। বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল ও এফএম রেডিওতে প্রচার হচ্ছে ঈদের বিশেষ অনুষ্ঠানমালা। ঈদের দিন গণভবনে সকাল সাড়ে নয়টা থেকে রাজনীতিক, কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিক, কূটনীতিক, বিচারপতি, শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ঈদের দিন দুপুর ১২টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। ঈদ উপলক্ষে কারাগার, এতিমখানা ও হাসপাতালে দেয়া হবে বিশেষ খাবার। বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে থাকবে বাড়তি আয়োজন।