প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলাকারীদের ‘শেকড়’ খুঁজে বের করা হবে।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
তিনি বলেন, ‘বৈঠকে গুলশানে রেস্তোরাঁয় হামলাকারীদের শেকড় খুঁজে বের করা হবে। কারা তাদের অস্ত্র-বিস্ফোরক দিচ্ছে তাও খুঁজে বের করা হবে।
সাম্প্রতিক বিভিন্ন হত্যা-হামলার ঘটনা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা এসব হামলা করেছে, তাদের অনেককেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী ফ্রান্স, বেলজিয়াম, ভারত ও জাপানে বিভিন্ন সময়ে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা তুলে ধরেন। সন্ত্রাসী হামলায় নিহত জাপানিদের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে হস্তান্তর করা হবে বলেও দেশটির পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে জানান শেখ হাসিনা।
প্রেসসচিব জানান, গুলশানে হামলার ঘটনায় যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ায় জাপানের প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এছাড়া বৈঠকে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতার ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলেও দুই পক্ষই আশা প্রকাশ করে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ এবং ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত এ বৈঠকের সময় উপস্থিত ছিলেন।
গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে শুক্রবার রাতের সন্ত্রাসী হামলায় ১৭ জন বিদেশিসহ ২০ জন নিহত হয়, যাদের জিম্মি করেছিল সন্ত্রাসীরা।
শনিবার সকালে নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ডো অভিযান ‘অপারেশন থান্ডারবোল্টের’ মধ্য দিয়ে এই জিম্মি সংকটের রক্তাক্ত অবসান ঘটে। অভিযানে ছয় সন্ত্রাসী নিহত হয় বলে নিরাপত্তাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এছাড়া তিন বিদেশিসহ ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
এর আগে শুক্রবার রাতে রেস্তোরাঁয় হামলার পরপরই সেখানে অভিযানে গিয়ে সন্ত্রাসীদের বোমার আঘাতে নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তা।