সাঈদীর রায় বুধবার সারা দেশে বিশেষ সতকর্তা

Slider গ্রাম বাংলা জাতীয় টপ নিউজ

e58b5dd86a6b8ec2a55709352b56a911-a97dd2afb95392c31c82d522db0f00d5
গ্রাম বাংলা ডেস্ক:  একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর দণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল দুটির রায় ঘোষণার জন্য আগামীকাল বুধবারের কার্যতালিকায় এসেছে। রায়কে সামনে রেখে সরকার সারা দেশে বিশেষ সতকর্তা জারী করেছে।

প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে আপিল দুটির রায় ঘোষণার জন্য কার্যতালিকার ১ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন: বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্‌হাব মিঞা, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী।

মঙ্গলবার বিকেলে প্রকাশিত আগামীকালের কার্যতালিকায় এ তথ্য পাওয়া গেছে।
সাঈদীর রায় আপিল বিভাগের কালকের কার্যতালিকায়
গত ১৬ এপ্রিল সাঈদীর দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে করা আপিলের রায় অপেক্ষমাণ (সিএভি-কেস অ্যায়োটিং ভারডিক্ট) রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। পাঁচ মাস পর বিষয়টি আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় এসেছে।
মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। তাঁর বিরুদ্ধে আনা ২০টি অভিযোগের মধ্যে আটটিতে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন। এর মধ্যে একাত্তরে ইব্রাহিম কুট্টি ও বিসাবালীকে হত্যার দায়ে আলাদা দুটি অভিযোগে তাঁকে সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হয়। ওই সাজা থেকে খালাস চেয়ে আপিল করেছিলেন জামায়াতের এই নেতা। আর রাষ্ট্রপক্ষ বাকি ছয়টি অভিযোগে সাজা চেয়ে আপিল করে, যেগুলোতে দোষী সাব্যস্ত হলেও ট্রাইব্যুনাল সাজা দেননি। ১৫ এপ্রিল দুপক্ষেরই আপিলের শুনানি শেষ হয়। ১৬ এপ্রিল আপিল মামলার কার্যক্রম শেষ ঘোষণা করে রায় অপেক্ষমাণ রাখা হয়।

সাঈদীর মামলার চূড়ান্ত রায় যেকোনো দিন

এর আগে আপিল নিষ্পত্তি হওয়া একমাত্র মামলায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দড়িতে ঝুলেছেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লা। গত বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনাল-২ তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছিলেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধেও দুপক্ষ আপিল করেছিল। আপিলে রাষ্ট্রপক্ষ চায় মৃত্যুদণ্ড, আর আসামিপক্ষ খালাসের আরজি জানায়। গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর সর্বোচ্চ আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আপিল মঞ্জুর করেন। ১২ ডিসেম্বর আপিলের রায় কার্যকর হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *