যাত্রা শুরুর সময় নাম ছিল চারদলীয় জোট। পরে কাটাছেঁড়া হয়েছে। হয়েছে যোগ-বিয়োগও। এখন নাম ২০ দলীয় জোট। কিন্তু জোট কি এখন আর আছে। নাকি কেবল হাঁকডাকই সার। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা নেই। তবে অনেকেই মনে করেন সে অর্থে জোট আর নেই। জোটের প্রধান দুই শরীকের মধ্যে এখন অনেক দূরত্ব। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, জামায়াতের সঙ্গে এখন দূরত্ব বজায় রাখতে চায় বিএনপি। এ নিয়ে তেমন আপত্তি নেই জামায়াতেরও। সর্বশেষ স্থানীয় কোনো নির্বাচনেই বিএনপি-জামায়াত সমঝোতা ছিল না।
নির্বাচনী জোট হিসেবে গঠিত হলেও ভোটের মাঠে প্রথম এবং একমাত্র সাফল্য সপ্তম জাতীয় নির্বাচন। ২০০৮ সালের অষ্টম জাতীয় নির্বাচনে ঘটেছে চরম ভরাডুবি। আন্দোলনে জোটের ইতিহাস পুরোটায় ব্যর্থতার। নির্বাচনে ভরাডুবি ও আন্দোলনে ব্যর্থতার পর বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট এখন শুধুই ফটোসেশন-নির্ভর। রমজানে জোটপ্রধান খালেদা জিয়ার পাশে বসে ইফতার, গুলশান কার্যালয়ে বৈঠক আর গণমাধ্যমে ছবি প্রকাশেই হয়ে দাঁড়িয়েছে জোটের সারবস্তু। জোটের অর্ধেক দলেরই নিবন্ধন নেই। নেই নিজস্ব কোনো রাজনীতিও। বেশির ভাগ দলই প্যাড আর নামসর্বস্ব। ভাঙন আর দলাদলিতে ক্ষয়িষ্ণু। অধিকাংশই এক নেতার এক দল। এমনও দল আছে যার সভাপতি নেই। আবার সভাপতি থাকলেও নেই সাধারণ সম্পাদক। নানা ইস্যুতে শরিকদের মধ্যে টানাপড়েনের পাশাপাশি জোটের ছোট দলগুলোর মধ্যে চলছে অন্তর্কলহ। এই কলহের সুযোগ নিচ্ছে সরকার। এরই মধ্যে চাপ ও প্রাপ্তির লোভে ২০ দল ছেড়েছে ইসলামী ঐক্যজোট, এনপিপি ও ন্যাপ ভাসানী তিনটি দলের একাংশ।
দীর্ঘদিন ধরেই ডাকা হয় না জোটের বৈঠক। সবমিলিয়ে হতাশার সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছেন শরিক দলের নেতাকর্মীরা। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ভবিষ্যৎ কি? রাজনৈতিক মহলে এ নিয়ে গুঞ্জনের শেষ নেই। তবে এসব ব্যর্থতার মধ্যেও বড় একটি সাফল্য রয়েছে এ জোটের। ভেতরে-বাইরে নানামুখী চাপের মুখেও এখন ভাঙেনি জোট। ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের আগে নানা চাপ আর প্রলোভনের মাধ্যমে জোটভুক্ত কোনো দলকে নির্বাচনে নিতে পারেনি সরকার।
জোট গঠন, ভাঙন ও সমপ্রসারণ: ২০০১ সালের সপ্তম জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় পার্টি এবং ইসলামী ঐক্যজোট মিলে গঠিত হয় চারদলীয় ঐক্যজোট। কিন্তু কিছু দিন পরেই জাতীয় পার্টির বড় অংশটি এরশাদের নেতৃত্বে জোট ছেড়ে যায়। তবে সেবার বিএনপির জনপ্রিয়তা ও বিএনপি-জামায়াতের সাংগঠনিক শক্তির সুবাদে বড় বিজয় পায় চারদলীয় জোট। পরে এ জোটে যোগ দেয় খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম। ২০০৬ সালে বিএনপির সঙ্গে বিরোধিতার কারণে জোট ছেড়ে যায় শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হকের নেতৃত্বাধীন খেলাফত মজলিস। তবে জোটে থেকে যান খেলাফতে মজলিসের মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক ও আহমাদ আবদুল কাদের। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ক্ষমতায় এলে রাজনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে চারদল। এমন পরিস্থিতিতে আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সমপ্রসারিত হয় চারদলীয় জোট। ২০১২ সালের ১৮ই এপ্রিল কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে চারদলীয় জোটকে সমপ্রসারিত করা হয় ১৮ দলে। জোটে যোগ দেয়- এলডিপি, কল্যাণ পার্টি, জাগপা, এনপিপি, বাংলাদেশ ন্যাপ, এনডিপি, মুসলিম লীগ, লেবার পার্টি, ইসলামিক পার্টি, ন্যাপ ভাসানী, ডেমোক্রেটিক লীগ ও পিপলস লীগ।
২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি নির্বাচনের পর ২৫শে জানুয়ারি এরশাদের জাতীয় পার্টি থেকে বেরিয়ে কাজী জাফর আহমদের নেতৃত্বাধীন জাপা (জাফর) ও কিছুদিন পরে দিলীপ বড়ুয়ার নেতৃত্বাধীন সাম্যবাদী দল থেকে ২০১৪ সালের ৪ঠা জুন সাঈদ আহমদের নেতৃত্বে সাম্যবাদী দল (সাঈদ) বিএনপি জোটে যোগ দিলে তা ২০ দলীয় জোটে রূপান্তরিত হয়। অন্যদিকে সর্বশেষ পৌর নির্বাচনে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে জোট ছেড়ে যায় আবদুল লতিফ নেজামীর নেতৃত্বাধীন ইসলামী ঐক্যজোট। তবে একই দলের সাবেক সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আবদুর রাকিব ও অধ্যাপক আবদুর করিমের নেতৃত্বে ইসলামী ঐক্যজোটের একটি অংশ জোটে থাকার ঘোষণা দেয়। ন্যাপ ভাসানীর শেখ আনোয়ারুল ইসলাম জোট থেকে বেরিয়ে গেলে কল্যাণ পার্টির তৎকালীন গাইবান্ধা জেলা সহ-সভাপতি আযহারুল ইসলামকে ওই দলের কথিত চেয়ারম্যান করে ন্যাপ ভাসানীর একটি অংশকে জোটে রাখা হয়। তাদের নিবন্ধন ও কার্যক্রম কোনোটিই নেই। শেখ শওকত হোসেন নিলুর নেতৃত্বাধীন এনপিপি জোট থেকে বেরিয়ে যায়। তবে এনপিপি’র তৎকালীন মহাসচিব ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের অংশটি জোটে থেকে যায়। একইভাবে এনডিপির মহাসচিব আলমগীর মজুমদার ও ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবদুর রশিদও আলাদা পার্টি (নিজ নামে) করে ২০ দল ছাড়লে খন্দকার গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বে এনডিপির একটি অংশ ও অ্যাডভোকেট আবদুল মোবিনের নেতৃত্বে ইসলামিক পার্টির একটি অংশ জোটে থেকে যায়।
নিবন্ধন ও ঠিকানা: ২০ দলের মধ্যে অর্ধেক দলেরই নিবন্ধন নেই। নিবন্ধনহীন দলগুলো হচ্ছে- জাতীয় পার্টি (জাফর), এনপিপি, এনডিপি, ইসলামিক পার্টি, পিপলস লীগ, লেবার পার্টি, সাম্যবাদী দল, ডেমোক্রেটিক পার্টি, ইসলামী ঐক্যজোট ও ন্যাপ ভাসানী। আবার বেশির ভাগ দলেরই নেই পূর্ণাঙ্গ কার্যালয়। তাদের ঠিকানা মূলত বাসাবাড়ি। কোনো কোনো পার্টির কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয় ওই দলের শীর্ষ নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে। আবার একই ভবন থেকে এক অফিস ব্যবহার করছেন একাধিক দল। ২০১১ সাল থেকেই বন্ধ ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতের কেন্দ্রীয় অফিস। বিএনপির পাশাপাশি এ দলটিকেই পার করতে হচ্ছে সবচেয়ে বেশি দুঃসময়। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দলটির সিনিয়র নেতাদের মৃত্যুদণ্ড এরই মধ্যে কার্যকর করা হয়েছে। পল্টন কালভার্ট রোডের একটি ভবনের তিনটি আলাদা কক্ষ থেকে পরিচালিত হয় বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এবং এনডিপির কার্যক্রম। এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কার্যক্রম। মাঝে মাঝে খোলা হয় কেবল এনডিপি’র কার্যালয়। তেজগাঁওয়ের এফডিসির মোড়ে একটি বহুতল ভবনে এলডিপির কার্যালয় থাকলেও সেখানে নেতাদের কোনো কার্যক্রম চোখে পড়ে না।
১৬ বিজয়নগরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সাইনবোর্ড থাকলেও আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মাদ ইসহাকের বাসা থেকেই পরিচালিত হয় খেলাফত মজলিসের কার্যক্রম। ৩৭/২ কালভার্ট রোডের ফাইনাজ অ্যাপার্টমেন্ট থেকে পরিচালিত হয় লেবার পার্টি ও এনপিপি’র কার্যক্রম। ৮৫ নয়া পল্টনের একটি ভবনের ৬ তলায় দুটি কক্ষে কল্যাণ পার্টি আর বাংলাদেশ ন্যাপের কার্যালয়। তবে দল দুইটির কার্যক্রম পরিচালিত হয় মে. জে. (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীকের মহাখালী ডিওএইচএস এবং জেবেল রহমান গানির বারিধারা ডিওএইচএসের বাসা থেকে। একইভাবে জাতীয় পার্টি (জাফর) ও পিপলস লীগের কার্যক্রম পরিচালিত হয় নেতাদের বাসায়। ১২৪/১, নিউ কাকরাইল রোড, শান্তিনগর প্লাজায় সাইনবোর্ড থাকলেও শীর্ষ নেতার মৃত্যুর পর অস্তিত্বহীনতায় পড়েছে বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির কার্যক্রম। আসাদ গেটে শফিউল আলম প্রধানের পারিবারিক ভবন থেকে পরিচালিত হয় জাগপার কার্যক্রম। তোপখানা রোডের বাণিজ্যিক ভবন মেহরাব প্লাজার নিচতলার পার্টির চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলামের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানই ন্যাপ ভাসানীর অফিস। অন্যদিকে ওয়ারীতে সাম্যবাদী দলের (একাংশ) সাইনবোর্ড থাকলেও তেমন কোনো কার্যক্রম নেই। ইসলামী ঐক্যজোটের আবদুল লতিফ নেজামী অংশের নিবন্ধন এবং লালবাগে কার্যালয় থাকলেও আবদুর রাকিবের নেতৃত্বাধীন ইসলামী ঐক্যজোটের তার কোনোটিই নেই।
ডেমোক্রেটিক লীগেরও কোনো নিবন্ধন নেই। কমরেড সাইদ আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাম্যবাদী দল ও ফরিদুজ্জামান ফরিদের এনপিপি নিবন্ধনহীন ও নামসর্বস্ব। এনপিপি’র (ফরহাদ) কার্যক্রম এখন আইনের বেড়াজালে বন্দি। সর্বশেষ নিলুর মামলাকে কেন্দ্র করে সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত ইফতার করতে দেয়নি পুলিশ। যে ইফতারে খালেদা জিয়াকে করা হয়েছিল প্রধান অতিথি।
সংগঠন, ভোটের হিসাব ও আন্দোলন: ২০দলীয় জোটে বিএনপির পর জামায়াতেরই রয়েছে বড় ধরনের সাংগঠনিক শক্তি ও দেশের বিভিন্ন জেলায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভোটের সমর্থন। কর্নেল (অব.) অলি আহমদের এলডিপি চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা এবং জেবেল রহমান গানির বাংলাদেশ ন্যাপ-এর কার্যক্রম রংপুরকেন্দ্রিক। জাতীয় পার্টির (জাফর) কিছু সাংগঠনিক অবস্থান রয়েছে বিচ্ছিন্নভাবে। অন্যদিকে কল্যাণ পার্টির তেমন কার্যক্রম দৃশ্যমান না হলেও টকশোতে মুখর থাকেন চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম। সাংগঠনিক দিক থেকে ভোলায় ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থের দল বিজেপির ভালো অবস্থান থাকলেও অন্য কোথাও তার অস্তিত্বও নেই।
এছাড়া মহাসচিব শামীম আল মামুনের মৃত্যুর পর দলটির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থই সব। ২০দলীয় জোটের শরিক দল ভাষাসৈনিক অলি আহাদের নেতৃত্বাধীন ডেমোক্রেটিক লীগ। অলি আহাদের মৃত্যুর পর সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মণিই দলটির সবেধন নীলমণি। একই পরিস্থিতি পিপলস লীগ, লেবার পার্টি, খেলাফতে মজলিস, কল্যাণ পার্টি, জাগপা, এনপিপি, এনডিপি, মুসলিম লীগ, ইসলামিক পার্টি, ন্যাপ ভাসানী ও সাম্যবাদী দলের। সর্বশেষ উপজেলা নির্বাচনে কিছুটা সমঝোতা হলেও সিটি নির্বাচন, পৌর নির্বাচন ও ইউপি নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে ন্যূনতম সমন্বয় ছিল না। দুই দলই নিজেদের মতো করে নির্বাচন করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে বিএনপির ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। আর এতে সরকারের সঙ্গে জামায়াতের আঁতাতের প্রশ্নও উঠেছে। অন্যদিকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে অকার্যকর হয়ে পড়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। তিন মাসের টানা অবরোধসহ অতীতের কর্মসূচিতে রাজপথের আন্দোলনে জোটের ব্যানারে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারেনি বিএনপিসহ শরিক দলগুলো। মিছিল-সমাবেশসহ কর্মসূচি পালনে পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় জোটের অন্তত ১৬টি দল।
অবশ্যই এটাও সত্য যে, জোটগত আন্দোলনে মামলা-হামলার শিকার ও কারাবরণ করেছেন প্রায় প্রতিটি দলের নেতাকর্মীরাই। অতীতে যে কোনো আন্দোলনে রাজপথে জামায়াত-শিবিরের বিশেষ ভূমিকা থাকলেও টানা অবরোধ কর্মসূচিতে সেভাবে দলটির নেতাকর্মীরা সক্রিয় না থাকায় ক্ষুব্ধ বিএনপি। অন্যদিকে যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে বিএনপির নীরবতায় ক্ষুব্ধ জামায়াত নেতাকর্মীরা। বিএনপির নিজস্ব সভা-সমাবেশে জোটের অন্য শরিক দলের নেতাদের অংশগ্রহণ থাকলেও জামায়াত নেতাদের অংশগ্রহণ থাকে না। এমনকি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সমাবেশে জামায়াতের তরফে অংশ নেন দ্বিতীয় ও তৃতীয় সারির নেতারা। বিএনপি নেতাদের দাবি, জামায়াতের ঐতিহাসিক দায় বিএনপির কাঁধে চেপে বসেছে। আন্তর্জাতিকভাবেও বিএনপিকে কট্টর ইসলামপন্থি দল হিসেবে পরিচিত করানো হয়েছে জামায়াত ইস্যুতেই। অন্যদিকে জামায়াত নেতাদের অভিযোগ বিএনপি জোটে থাকার কারণে তারা সর্বোচ্চ নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হলেও বিএনপির অবস্থান ছিল আগাগোড়াই ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’।
সব মিলিয়ে বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে দূরত্ব এখন আর কেবল গুজবে সীমাবদ্ধ নয়। ওদিকে হেফাজতভুক্ত দল ইসলামী ঐক্যজোট, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও খেলাফত মজলিস ২০১৩ সালের ৫ই মে শাপলা চত্বরের ঘটনার পর থেকেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। সর্বশেষ স্থানীয় সরকার নির্বাচন, সরকারবিরোধী আন্দোলন কর্মসূচি প্রণয়নে গুরুত্ব না দেয়াসহ যথাযথ মূল্যায়নের অভাব নিয়ে ক্ষোভও রয়েছে দলগুলোর। জোটের মধ্যে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো নিয়ে একটি কোর কমিটি গঠন, জেলা পর্যায়ে লিয়াজোঁ কমিটি গঠন, বিএনপির কয়েকজন সিনিয়র নেতাসহ জোটভুক্ত দলগুলোর মহাসচিবদের নিয়ে একটি বিশেষ কমিটি গঠনের প্রস্তাব থাকলেও সেদিকে অগ্রসর হয়নি প্রধান শরিক বিএনপি। সার্বিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে হতাশার মধ্যে রয়েছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দল।