আগামী জুলাই মাসে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গুপ্তহত্যাসহ জঙ্গি তৎপরতা বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এ ধরনের গুপ্তহত্যা ও আক্রমণের জন্য সহজ টার্গেটকে বেছে নেয়া হতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে জঙ্গি গোষ্ঠী কর্তৃক গুপ্তহত্যা পর্যালোচনা ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে এমনটাই জানিয়েছে দেশের এক শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুপ্তহত্যা ও আক্রমণের প্রথম টার্গেটে রয়েছে হিন্দু, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধসহ
বিভিন্ন ধর্মীয় সংখ্যালঘু ধর্মের উপাসনালয়, ধর্মযাজক এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘু সাধারণ জনগণ। এরপরের কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের অনুসারী ব্যক্তি এবং তাদের মসজিদ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং তাদের পরিবার, বিভিন্ন জঙ্গি সংক্রান্ত মামলার বিচারক এবং তাদের পরিবার, বিভিন্ন জঙ্গি সংক্রান্ত মামলায় প্রসিকিউশনের পক্ষের আইনজীবী এবং তাদের পরিবার, ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো, বিভিন্ন এনজিও কর্মী, বিভিন্ন বিতর্কিত পীর ও মাজারগুলো, নাট্যকর্মী এবং মুক্তমনা বুদ্ধিজীবীরা এবং বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদক ও কলামিস্টরা জঙ্গিদের কড়া টার্গেটে রয়েছে। বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ধরনের গুপ্তহত্যা বা জঙ্গি আক্রমণের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়তে পারে। বেশির ভাগ তৎপরতা জেএমবি কর্তৃক হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে পঞ্চগড়, দিনাজপুর, নীলফামারী, রংপুর, গাইবান্ধা, জয়পুরহাট, নাটোর, রাজশাহী, চাঁপাই নবাবগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ এবং চট্টগ্রাম জেলায় বেশি সংঘটিত হতে পারে। গুপ্তহত্যা ও বিভিন্ন সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলার পাশাপাশি জঙ্গি অর্থায়নের জন্য তথাকথিত শরিয়া অভিযানের নামে বিভিন্ন আর্থিক ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের অর্থ ডাকাতি, দস্যুতা ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৫ থেকে ১০ই জুন পর্যন্ত ছয় দিনে সারা দেশে তিনটি জঙ্গি আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে গত ৫ই জুন নাটোরে খ্রিষ্টান ব্যবসায়ী সুনীল গোমেজ, ৭ই জুন ঝিনাইদহে মন্দিরের পুরোহিত গোপাল গাঙ্গুলি এবং ১০ই জুন পাবনায় মন্দিরের সেবক নিত্যরঞ্জন পাণ্ডে হত্যার দায় স্বীকার করেছে আইএস। বিশেষ প্রতিবেদনে কয়েকটি গোয়েন্দা সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে বলা হয়েছে, সারা বিশ্বে চলমান সংঘাত ও নিরাপত্তা হুমকি সংক্রান্ত উন্মুক্ত গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণকারী যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অফ ওয়ার (আইএসডব্লিউ)-এর ওয়েব সাইটে আইসিসের রিজিওনাল ক্যাম্পেইন, মে ২০১৫ শিরোনামের এক পোস্টে বলা হয়েছে, আইএস বাংলাদেশে তাদের শাখা (অ্যাফিলিয়েট) ঘোষণা করতে পারে। মিশর, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে হামলা করতে পারে। এর আগে একই ওয়েবসাইটের এপ্রিলের সংখ্যায় একই ধরনের আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। এছাড়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ওয়েবসাইট ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট- তে কান্ট্রি রিপোর্টার্স অন টেরোরিজম ২০১৫ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এ প্রতিবেদনের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া অধ্যায়ে বাংলাদেশ নামক একটি অংশ রয়েছে। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, সারা বিশ্বে ২০১৫ সালে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা উল্লেখযোগ্য হারে কমলেও বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা বেড়েছে এবং এসব ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আগের চেয়ে উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। আইএস কর্তৃক প্রকাশিত দাবিক ম্যাগাজিনের ১২ তম সংখ্যায় ‘দ্য রিভাইভাল অব জিহাদ ইন বেঙ্গল’ শীর্ষক প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে আইএসের ভবিষ্যৎ হামলার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া, কানাডাভিত্তিক পত্রিকা ন্যাশনাল পোস্ট গত ৭ই জুনের একটি প্রতিবেদনে বলেছে, আইএসের (ইসলামিক স্টেট) ‘বাংলার খিলাফত দলের প্রধান’ শায়খ আবু ইব্রাহিম আল-হানিফ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক। তার প্রকৃত নাম তামিম চৌধুরী। তিনি কানাডা থেকে বাংলাদেশে চলে এসেছেন। এ বছরের এপ্রিলে অনলাইনে প্রকাশিত আইএসের নিজস্ব সাময়িকী দাবিক-এর ১৪তম সংখ্যায় আইএসের কথিত বাংলাদেশ প্রধান শায়খ আবু ইব্রাহিম আল-হানিফের দীর্ঘ সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়, কৌশলগত অবস্থানের কারণে আইএস বাংলাদেশে শক্ত ঘাঁটি করতে চাইছে। এসব নানা তথ্য উল্লেখ করে বিশেষ প্রতিবেদনে পাঁচটি সুপারিশ দিয়ে বলা হয়েছে, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের জেএমবি ‘অধ্যুষিত’ এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা প্রয়োজন। এছাড়া মোটর সাইকেল চেকিং-এর সময় জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করতে হবে। ধর্মীয় সংখ্যালঘু বেশি রয়েছে এমন এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘু সংগঠনগুলোকে সক্রিয় করতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। পাশাপাশি থানায় জঙ্গিদের রেজিস্ট্রার সংরক্ষণ, জামিনে মুক্তি পাওয়া জঙ্গিদের অনুসরণ ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াতে হবে। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বিশেষ সংস্থার এ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছে।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুপ্তহত্যা ও আক্রমণের প্রথম টার্গেটে রয়েছে হিন্দু, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধসহ
বিভিন্ন ধর্মীয় সংখ্যালঘু ধর্মের উপাসনালয়, ধর্মযাজক এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘু সাধারণ জনগণ। এরপরের কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের অনুসারী ব্যক্তি এবং তাদের মসজিদ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং তাদের পরিবার, বিভিন্ন জঙ্গি সংক্রান্ত মামলার বিচারক এবং তাদের পরিবার, বিভিন্ন জঙ্গি সংক্রান্ত মামলায় প্রসিকিউশনের পক্ষের আইনজীবী এবং তাদের পরিবার, ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো, বিভিন্ন এনজিও কর্মী, বিভিন্ন বিতর্কিত পীর ও মাজারগুলো, নাট্যকর্মী এবং মুক্তমনা বুদ্ধিজীবীরা এবং বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদক ও কলামিস্টরা জঙ্গিদের কড়া টার্গেটে রয়েছে। বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ধরনের গুপ্তহত্যা বা জঙ্গি আক্রমণের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়তে পারে। বেশির ভাগ তৎপরতা জেএমবি কর্তৃক হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে পঞ্চগড়, দিনাজপুর, নীলফামারী, রংপুর, গাইবান্ধা, জয়পুরহাট, নাটোর, রাজশাহী, চাঁপাই নবাবগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ এবং চট্টগ্রাম জেলায় বেশি সংঘটিত হতে পারে। গুপ্তহত্যা ও বিভিন্ন সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলার পাশাপাশি জঙ্গি অর্থায়নের জন্য তথাকথিত শরিয়া অভিযানের নামে বিভিন্ন আর্থিক ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের অর্থ ডাকাতি, দস্যুতা ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৫ থেকে ১০ই জুন পর্যন্ত ছয় দিনে সারা দেশে তিনটি জঙ্গি আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে গত ৫ই জুন নাটোরে খ্রিষ্টান ব্যবসায়ী সুনীল গোমেজ, ৭ই জুন ঝিনাইদহে মন্দিরের পুরোহিত গোপাল গাঙ্গুলি এবং ১০ই জুন পাবনায় মন্দিরের সেবক নিত্যরঞ্জন পাণ্ডে হত্যার দায় স্বীকার করেছে আইএস। বিশেষ প্রতিবেদনে কয়েকটি গোয়েন্দা সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে বলা হয়েছে, সারা বিশ্বে চলমান সংঘাত ও নিরাপত্তা হুমকি সংক্রান্ত উন্মুক্ত গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণকারী যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অফ ওয়ার (আইএসডব্লিউ)-এর ওয়েব সাইটে আইসিসের রিজিওনাল ক্যাম্পেইন, মে ২০১৫ শিরোনামের এক পোস্টে বলা হয়েছে, আইএস বাংলাদেশে তাদের শাখা (অ্যাফিলিয়েট) ঘোষণা করতে পারে। মিশর, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে হামলা করতে পারে। এর আগে একই ওয়েবসাইটের এপ্রিলের সংখ্যায় একই ধরনের আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। এছাড়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ওয়েবসাইট ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট- তে কান্ট্রি রিপোর্টার্স অন টেরোরিজম ২০১৫ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এ প্রতিবেদনের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া অধ্যায়ে বাংলাদেশ নামক একটি অংশ রয়েছে। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, সারা বিশ্বে ২০১৫ সালে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা উল্লেখযোগ্য হারে কমলেও বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা বেড়েছে এবং এসব ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আগের চেয়ে উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। আইএস কর্তৃক প্রকাশিত দাবিক ম্যাগাজিনের ১২ তম সংখ্যায় ‘দ্য রিভাইভাল অব জিহাদ ইন বেঙ্গল’ শীর্ষক প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে আইএসের ভবিষ্যৎ হামলার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া, কানাডাভিত্তিক পত্রিকা ন্যাশনাল পোস্ট গত ৭ই জুনের একটি প্রতিবেদনে বলেছে, আইএসের (ইসলামিক স্টেট) ‘বাংলার খিলাফত দলের প্রধান’ শায়খ আবু ইব্রাহিম আল-হানিফ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক। তার প্রকৃত নাম তামিম চৌধুরী। তিনি কানাডা থেকে বাংলাদেশে চলে এসেছেন। এ বছরের এপ্রিলে অনলাইনে প্রকাশিত আইএসের নিজস্ব সাময়িকী দাবিক-এর ১৪তম সংখ্যায় আইএসের কথিত বাংলাদেশ প্রধান শায়খ আবু ইব্রাহিম আল-হানিফের দীর্ঘ সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়, কৌশলগত অবস্থানের কারণে আইএস বাংলাদেশে শক্ত ঘাঁটি করতে চাইছে। এসব নানা তথ্য উল্লেখ করে বিশেষ প্রতিবেদনে পাঁচটি সুপারিশ দিয়ে বলা হয়েছে, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের জেএমবি ‘অধ্যুষিত’ এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা প্রয়োজন। এছাড়া মোটর সাইকেল চেকিং-এর সময় জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করতে হবে। ধর্মীয় সংখ্যালঘু বেশি রয়েছে এমন এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘু সংগঠনগুলোকে সক্রিয় করতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। পাশাপাশি থানায় জঙ্গিদের রেজিস্ট্রার সংরক্ষণ, জামিনে মুক্তি পাওয়া জঙ্গিদের অনুসরণ ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াতে হবে। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বিশেষ সংস্থার এ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছে।