ব্রেকফাস্ট টেবলের উল্টো দিকে বসা ফরাসি প্রৌঢ় ইংরেজি বোধহয় একদম বোঝেন না। মূর্খামি অবশ্যই প্রশ্নকর্তার, উত্তরদাতার নয়। কে না জানে, এ দেশে মেসি মানে ‘থ্যাঙ্ক ইউ’!
পাশ্চাত্যের এই ভূখণ্ডে বিদেশি পর্যটককে কিছু জিজ্ঞেস-টিজ্ঞেস করতে হলে, ইংরেজি বলতে পারেন কি না জেনে নেওয়াটা অতি স্বাভাবিক শিষ্টাচার। সেই ধর্ম মেনেই উপবিষ্ট বৃদ্ধকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, আর উত্তরে ‘উই’ শুনলে (ইংরেজিতে ইয়েস) যে কোনও ভিনদেশীর আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে। কিন্তু কোথায় কী? মেসি বলতে যে লিওনেল মেসির কথা বলা হচ্ছে, ধন্যবাদজ্ঞাপন মোটেও হচ্ছে না, প্রৌঢ়কে বোঝাবে কে! কোনও কারণ ছাড়া ‘মেসি’ শুনে বারবার বিস্মিত হলেন, শেষে মেসি ছেড়ে অতি কষ্টে তাঁকে লিওনেল মেসির দিকে টেনে নিয়ে যাওয়ায় যে অবিশ্বাস, বিভ্রান্তি আর বিপর্যয় মেশানো স্বগতোক্তি ভেসে এল, ইউরোপ কেন, গোটা পৃথিবীর ফুটবল-পাগলদের তা অস্ফুট বিলাপ হতে পারে।
‘‘নো মোর লিও! নো!”