সম্পাদকীয়: এসপির স্ত্রী হত্যা ও গণগ্রেফতার

Slider জাতীয় বাংলার মুখোমুখি সম্পাদকীয়

babul-4

 

 

দেশে টার্গেট কিলিং শুরু হলেও গণগ্রেফতার শুরু হয়নি। এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী খুন হওয়ার পর গণগ্রেফতারের সূচনা। এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে ১৫ হাজারের মত লোক গ্রেফতার হয়েছেন। এর মধ্যে জঙ্গী সন্দেহে নিশ্চিত করে আটক  শতাধিক হবে না। বাকীরা বিভিন্ন মামলার আসামী বলছে পুলিশ। এত সংখ্যক লোক গ্রেফতারের কারণে কারাগার গুলো এখন টুই টুম্বুর হয়ে আছে। ধারণ ক্ষমতার চেয়ে তিনগুন বেশী বন্দি আছে কারাগারে। ঈদকে সামনে রেখে বন্দির লোকজন এখন পুলিশ স্টেশন, আদালত ও কারাগারে ভীড় করে আছেন। এটা প্রতিদিনের চিত্র।

আজ হঠাৎ প্রধান বিচারপতি কাশিমপুর কারাগার পরিদর্শন করেছেন। কেন করেছেন তা রাষ্ট্রীয় বিষয়। তবে প্রধান বিচাপতির সাম্প্রতিক বক্তব্য থেকে মনে হয় তিনি উপলব্ধি করতে পেরেছেন ওই গণগ্রেফতারে নির্দোষ লোকও থাকতে পারেন। যদি এমনটি হয়ে থাকে তবে ধারণা করা যায়, ঈদের আগে জামিনযোগ্য অনেকে জামিন পেতে পারেন। এটা হলে ভাল উদ্যোগ।

জনমনে প্রশ্ন এসে যায়, যাকে উদ্দেশ্য করে এই গণগ্রেফতার ওই বিষয়টি আসলে কি? ইতোমধ্যে এসপির স্ত্রী হত্যা মামলাটি নতুন মোড় নিতে যাচ্ছে বলেও চাওড় আছে। যদি তাই হয়, তবে পারিবারিক কারণে সৃষ্ট হত্যার ঘটনায় সারাদেশে ১৫ হাজার লোক গ্রেফতার হল কেন? আর গ্রেফতার কৃতদের মধ্যে যারা জঙ্গীর অভিযোগে অভিযুক্ত নয় তারা মুক্তিও পেলেন না কেন?  তাহলে কি ধরে নেয়া যায় যে, ঈদের আগে এই গণগ্রেফতার পুলিশকে একটি বিশেষ উপহার দিয়েছে? নাকি টার্গেট কিলিং বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে? অথবা রাজনৈতিক কারণে প্রতিপক্ষকে কোনঠাসা করতে করা হয়েছে?   যা এখন অনেকটাই স্পষ্ট।

ড. এ কে এম রিপন আনসারী

এডিটর ইনচীফ

গ্রামবাংলানিউজটোয়েন্টিফোরডটকম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *