রাজধানীতে মেট্রোরেল প্রকল্প ও বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ দুটি কাজের উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের একটি স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। ঢাকায় বহু মানুষের বাস। কিন্তু সেই তুলনায় সড়কের অভাব আছে। আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে অনেক মানুষের যাতায়াত সহজ করার জন্য কাজ করতে হবে। তার সরকার নগরবাসীর যাতায়াত সহজ করতে বিভিন্ন প্রকল্প নিয়েছে এবং নিচ্ছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন প্রকল্পের উদ্বোধন বিষয়ে ‘ঈদের আগেই সুখবর’ পাওয়া যাবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কও চার লেন করা হবে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, মেট্রোরেলের মোট ছয়টি রুট থাকবে। এর মধ্যে উত্তরা থেকে শাপলা চত্বরের (রুট-৬) কাজ আগে শেষ হবে। বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে। ২০১৯ সালের মধ্যে রুট-৬-এর উত্তরা থেকে আগারগাঁও এবং ২০২০ সালে শাপলা চত্বর পর্যন্ত মেট্রোরেল নির্মাণকাজ শেষ হবে। প্রতি ঘণ্টায় মেট্রোরেল দুপাশে ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করবে। মন্ত্রণালয় মনে করে, রুট-৬-এর কাজ শেষ হলে ঢাকার যানজট কমবে, নগরবাসীর যাতায়াত সহজ হয়ে যাবে। ২০ কিলোমিটার দৈর্ঘের এই মেট্রোরেলের নির্মাণকাজে ২২ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
বিআরটি প্রকল্প গাজীপুর থেকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত নেয়া হয়েছে। গাজীপুর থেকে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করতে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এই কাজ করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের আওতায় কয়েকটি উড়ালসড়ক এবং বাসের জন্য আলাদা রুট করা হবে। ফলে গাজীপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত যাত্রীরা দ্রুত যাতায়াত করতে পারবেন।