বাগেরহাট: বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার নলধা মৌভোগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা কাজী মোহম্মদ মহসিনকে (৪৫) হত্যা মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রোববার (২৬ জুন) দুপুরে বিচারিক হাকিম আসিফ আকরামের আদালতে চেয়ারম্যান হাজির হয়ে হত্যা মামলায় জামিন আবেদন করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। কাজী মহসিন ফকিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ জুন বাগেরহাটের ফকিরহাটে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান কাজী মহসিনের সমর্থকরা উপজেলার ব্রক্ষ্মডাঙ্গা গ্রামের হাফিজুল সরদার (২৬) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয় আরও দুই জন। পরে হামলাকারীরা তিনটি বাড়িও ভাঙচুর করে।
এই ঘটনার পরদিন নিহতের বড় ভাই আজিজুর রহমান বাদী হয়ে চেয়ারম্যান কাজী মহসিনকে প্রধান আসামিসহ ১৮জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে ফকিরহাট থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
বাগেরহাট আদালতের পরিদর্শক আলী নেওয়াজ বলেন, গত ৫ জুন ফকিরহাটে হাফিজুল সরদার নামে এক যুবক খুন হন। ওই ঘটনায় থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় চেয়ারম্যান কাজী মহসিন প্রধান আসামি। তিনি রোববার দুপুরে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন। আদালতের বিচারক শুনানী শেষে তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
নিহত হাফিজুল নলধা গ্রামের আতিয়ার সরদারের ছেলে। আহত হন ফকিরহাট উপজেলার আড়ুয়াডাঙ্গা গ্রামের খান খলিলুর রহমান (৫৭) ও তার ছেলে ইমরান খান (১৭)।
ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রহমান বলেন, নলধা গ্রামের হাফিজুল সরদার ও ইমরান খান ব্রক্ষ্মডাঙ্গা দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় চেয়ারম্যানের ৩০/৩৫ জন সমর্থক ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। পরে হামলকারীরা আড়ুয়াডাঙ্গা গ্রামের খলিলুর রহমান, আবুল হোসেন ও জালাল উদ্দিনের বাড়িতে ভাঙচুর করে এবং খলিলকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে।
এতে হাফিজুল ও ইমরান ও তার বাবা খলিলুর রহমান গুরুতর আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে ফকিরহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক হাফিজুলকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় পুলিশ আড়ুয়াডাঙ্গা গ্রাম থেকে সাঈদ সরদার ও আল আমিনকে গ্রেপ্তার করে। বাকিদের ধরার চেষ্টা চলছে।