পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যায় আটক দুইজন সরাসরি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তিনি বলেন, মিত্যু হত্যায় আটক ওয়াসিম ও আনোয়ার সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়ার কথা স্বীকার করেছে। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার জন্য তাদের চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম হারুন-অর রশিদের আদালতের পাঠানো হয়েছে।
সিএমপি কমিশনার বলেন, দু’জনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, ওয়াসিম মোটরসাইকেলে ছিল এবং সে-ই গুলি চালায়। আর আনোয়ার ছিল রেকি অ্যান্ড রেসকিউ টিমের সদস্য।
তিনি জানান, ওয়াসিম ও আনোয়ারের দেওয়া তথ্য অনুসারে, এটি ছিল একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। সাত থেকে আটজন মিলে হত্যাকাণ্ডটি ঘটায়। তবে হত্যাকাণ্ডের মোটিভ এখনও পরিষ্কার নয়। হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত সবাইকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
একটি পেশাদার অপরাধী চক্র এ কাজ করেছে জানিয়ে ইকবাল বাহার আরও বলেন, এই হত্যাকাণ্ডে পেছনে কে বা কারা রয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষ হলেই এ বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে বলা যাবে।
প্রসঙ্গত, গত ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানার জিইসির মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত ও গুলিতে নিহত হন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু।
এসপি পদে পদোন্নতি পাওয়ার আগে বাবুল আক্তার চট্টগ্রামে গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তা হিসেবে সফলতার সঙ্গে বেশ কয়েকটি জঙ্গি বিরোধী অভিযানে নেতৃত্ব দেন। এ কারণে তার স্ত্রী হত্যায় জঙ্গিরা জড়িত থাকতে পারে- এমন ধারণাকে সামনে রেখে তদন্তে নামে পুলিশ।
এরপর গত ১২ জুন এ ঘটনায় করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বদল করে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সহকারী কমিশনার মো. কামরুজ্জামানকে তদন্তভার দেওয়া হয়। এর আগে গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক কাজী রকিব উদ্দিন মামলাটি তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন।
এরই মধ্যে শুক্রবার রাতে মিতুর স্বামী এসপি বাবুল আক্তারকে ‘আইজিপি স্যার ডেকেছেন’ বলে নিয়ে যায় পুলিশ। এর প্রায় ১৫ ঘণ্টা পর বাসায় ফেরেন বাবুল আক্তার। পরে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক জানান, মিতু হত্যার ঘটনায় করা মামলার বাদী হিসেবে এসপি বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।