চট্টগ্রাম : ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে নতুন বিরতিহীন ‘সোনার বাংলা এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি কমলাপুর থেকে যাত্রী নিয়ে আজ দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে চট্টগ্রাম আসছে। ‘সোনার বাংলা এক্সপ্রেস’ নাম পাওয়া ১৬ বগির এই ট্রেন শুধু ঢাকার বিমানবন্দর স্টেশনে থামবে। পাঁচ ঘণ্টা ৪০ মিনিটে ট্রেনটি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম এবং চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা পৌঁছাবে বলে রেল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এর আগে রাজধানীর কমলাপুর স্টেশনে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ভারতীয় ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ঋণ সহায়তায় মোট ২৭০টি কোচ দিয়ে ট্রেন পরিচালনা কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জিএম মো. আবদুল হাই বলেন, ‘শনিবার (২৫ জুন) ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করেছেন। তবে ট্রেনটি বাণিজ্যিকভাবে যাত্রী পরিবহন শুরু করবে রোববার থেকে।
তিনি আরো বলেন, ‘ইন্দোনেশিয়া থেকে আনা নতুন ১৬টি বগি দিয়েই আন্তঃনগর ট্রেনটি যাত্রী পরিবহন করবে। শনিবার ছাড়া সপ্তাহের বাকি ছয়দিন ট্রেনটি চলাচল করবে। এটিতে স্নিগ্ধা (শীতাতপ চেয়ার), শোভন চেয়ার, এসি বার্থ মিলিয়ে ৭৪৬টি আসন থাকবে।
সোনার বাংলা এক্সপ্রেস হবে ঢাকা-চট্টগ্রাম পথে চলাচলকারী দ্বিতীয় বিরতিহীন ট্রেন। এর আগে প্রথম বিরতিহীন আন্তঃনগর ট্রেন সুবর্ণ এক্সপ্রেস চলাচল শুরু করে ১৯৯৮ সালের ১৪ এপ্রিল।
সূত্র জানায়, প্রতিদিন সকাল ৭টায় সোনারবাংলা এক্সপ্রেস কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে ছেড়ে চট্টগ্রাম পৌঁছাবে বেলা ১২টা ৪০ মিনিটে। একই ট্রেন চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ছাড়বে বিকাল ৫টায়, ঢাকা পৌঁছাবে রাত ১০টা ৪০ মিনিটে। প্রথম বিরতিহীন আন্তঃনগর ট্রেন সুবর্ণ এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম থেকে সকাল ৭টায় ছেড়ে ঢাকা পৌঁছায় বেলা ১২টা ৪০ মিনিটে। আর ঢাকা থেকে বিকাল ৩টায় ছেড়ে রাত ৮টা ৪০ মিনিটে পৌঁছানোর সময় নির্ধারিত রয়েছে।
সোনার বাংলা এক্সপ্রেসর ১৬টি বগির মধ্যে চারটি এসি চেয়ায়ের (স্নিগ্ধা) প্রতিটিতে ৫৫ করে ২২০ আসন, সাতটি শোভন চেয়ারের বগিতে ৪২০ আসন, দুটি এসি বাথে ৩৩ করে ৬৬ আসন এবং দুটি খাবার গাড়ির সঙ্গে সংযুক্ত ৪০টি আসন রয়েছে। ট্রেনটিতে খাবার সরবরাহের দায়িত্বে থাকবে পর্যটন করপোরেশন।