ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে নতুন একটি ট্রেনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ‘সোনার বাংলা এক্সপ্রেস’ নামে এ ট্রেনটি বিরতিহীনভাবে চলাচল করবে। শনিবার দুপুরে কমলাপুর রেলস্টেশনে ট্রেনটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তিনি। রোববার সকাল ৭টায় ট্রেনটি বাণিজ্যিকভাবে যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবে। রেল কর্মকর্তারা জানান, প্রতিদিন সকাল ৭টায় ঢাকা থেকে ছেড়ে কোনো যাত্রাবিরতি না করে ট্রেনটি চট্টগ্রাম পৌঁছাবে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে। একইভাবে চট্টগ্রাম থেকে বিকেল ৫টায় ছেড়ে যাত্রাবিরতি না করে রাত ১০টা ৪০ মিনিটে পৌঁছাবে ঢাকায়। তবে শনিবার ট্রেনটি বন্ধ থাকবে। ট্রেনটির যাত্রীরা শুধুমাত্র ঢাকার কমলাপুর ও বিমানবন্দর স্টেশন থেকে ওঠানামা করতে পারবেন। সোনার বাংলায় রয়েছে দুটি এসি স্লিপিং চেয়ার, চারটি এসি চেয়ার, সাতটি শোভন চেয়ার। এছাড়াও অন্যান্য আন্তঃনগর ট্রেনের মত একটি খাবার গাড়ি ও পাওয়ার কার রয়েছে।প্রতিটি এসি চেয়ারে ৫৫টি, এসি স্লিপিংয়ে ৩৩টি, শোভন চেয়ার ৬০টিসহ ৭৪৬টি আসন রয়েছে। এসি স্লিপিং চেয়ার এক হাজার ২০০ টাকা, এসি চেয়ার ১ হাজার টাকা আর শোভন চেয়ারের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০০ টাকা।
এদিকে, যানজট কমাতে শনিবার দুপুরে রাজধানীর রামপুরা-বনশ্রী ও বাড্ডার সংযোগ সড়কে হাতিরঝিল প্রকল্পের সাউথ ইউলুপের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) পরিকল্পিত ‘ইউ’ আকৃতির গাড়ি পারাপারের এ সেতু বা ইউলুপের উদ্বোধন করেন তিনি। বনশ্রী থেকে ছেড়ে আসা গাড়িগুলোকে হাতিরঝিল ও কাওরানবাজার যেতে হলে ডানে মোড় নিলেই সৃষ্টি হয় যানজটের। এছাড়া, কুড়িল-বাড্ডা ও বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে আসা গাড়িগুলোকে রামপুরা ব্রিজ হয়ে যেতে হয় বিভিন্ন গন্তব্যে। এতে রামপুরা-বনশ্রী ও বাড্ডা-হাতিরঝিলের সংযোগ সড়কটিতে সর্বদা সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের। ইউ লুপের ফলে যানজট কমে যাবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।