ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে ব্রিটেনের ‘বিচ্ছেদ’ নিয়ে আলোচনা করতে একটি বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউনিয়নের নেতারা।
ইউঙ্কার এটিও মনে করেন, ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়া নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের পদত্যাগ করা পর্যন্ত অপেক্ষা করার কোনো মানে হয় না।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবারের গণভোটে ৫২ শতাংশ ব্রিটিশ ভোটার ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে যাওয়ার পক্ষে ভোট দেয়, আর থাকার পক্ষে ভোট পড়ে ৪৮ শতাংশ।
গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেন বেরিয়ে যাবার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর পুরো ইউরোপজুড়ে দেখা দিয়েছে এর নানামুখী প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ডেভিড ক্যামেরন পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পর তার জায়গায় যিনি আসতে পারেন বলে জোড় গুঞ্জন তৈরি হয়েছে তিনি লন্ডনের সাবেক মেয়র বরিস জনসন।
তিনি মনে করেন, ইউরোপ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়ে প্রক্রিয়া শুরু করার ব্যাপারে এখনই এতো তড়িঘড়ি করার কোনো প্রয়োজন নেই।
এদিকে ব্রিটেনের ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে নড়েচড়ে বসেছে ইউরোপ। ইইউয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনার জন্য জোটের প্রতিষ্ঠাকালীন ছয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের শনিবার এক জরুরি সভায় বসার কথা রয়েছে। তবে এই বৈঠকে ব্রিটেনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
এদিকে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাঙ্ক-ওয়াল্টার স্টেইনমেইয়ার অন্যান্য দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, তারা যেন ব্রিটেনের প্রতি কোনো রিরূপ মনোভাব না রাখেন।
তিনি বলেন, ‘ব্রিটেনের জনগণের সিদ্ধান্তকে আমাদের শ্রদ্ধা জানতে হবে। ব্রিটেন চলে যাওয়ায় তারা দুঃখিত, কিন্তু এটা হতাশার সময় নয়, কারণ এখন সবাই মিলে ইউরোপকে একত্রিত রাখতে হবে।’
গণভোটের ফলের পর যে কয়েকটি ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক প্রভাব পড়েছে তার মধ্যে একটি হচ্ছে ব্রিটেনের মুদ্রা। একদিকে পাউন্ডের দাম কমেছে, অন্যদিকে ব্রিটেনের সরকারি বন্ডগুলোও এখন সর্বোচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
ব্রিটেনের এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, ব্রিটিশ গণভোটে উঠে আসা জনগণের মতামতকে তিনি শ্রদ্ধা করেন এবং যুক্তরাজ্যের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যে বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে তা অটুট থাকবে।