মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের সম্ভাব্য প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেট দলের সম্ভাব্য প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে ‘বিশ্বমানে মিথ্যুক’ বলে অভিহিত করেছেন। এছাড়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সময় হিলারি বিপুল পরিমাণ অর্থ ‘চুরি’ করেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন ট্রাম্প।
নভেম্বরের নির্বাচনকে সামনে রেখে বুধবার নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটানে নিজের পাঁচ তারকা হোটেল সোহো থেকে হিলারির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেন ট্রাম্প। ওই প্রচারণায় তিনি সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারিকে ‘বিশ্বমানের মিথ্যুক’ এবং ‘চোর’ হিসাবে উল্লেখ করেন। তিনি হিলারিকে এ যাবৎকালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদের মধ্যে ‘সবচেয়ে অসৎ ব্যক্তি’ বলেও আখ্যায়িত করেছেন।
হিলারি নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পকে ‘বিপজ্জনক’ আখ্যা দেওয়ার পরদিনই ট্রাম্প হিলারির বিরুদ্ধে মারাত্মক সব অভিযোগ আনলেন।
ধনকুবের ট্রাম্প হিলারির সমালোচনা করে বলেন,‘তিনি পররাষ্ট্র দপ্তরকে নিজস্ব কোষাগারের মত ব্যবহার করেছেন। তিনি ‘সারা জীবন’ বিশেষ স্বার্থে অর্থ সংগ্রহ করেছেন এবং এসব অর্থের বিশাল অংশ তিনি নিজের জন্য ব্যবহার করেছেন।’
হিলারির সমালোচনা করতে গিয়ে তিনি সাফটার মত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিকে ‘হিলারি সমর্থিত’ বলেও উল্লেখ করেন। তিনি মার্কিন ভোটারদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, হিলারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ট্রান্স-প্যাসিফিক অংশীদার চুক্তি অনুমোদন করবেন। ট্রাম্পের মতে এই চুক্তির ফলে লাখ লাখ মার্কিন নাগরিক চাকরি হারাবেন।
রিপাবলিকান দলের এই প্রার্থী সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রন্ত্রীর বিরুদ্ধে তার কর্মীদের কিনে নেয়ারও অভিযোগ করেছেন। নিজের সমর্থকদের উদ্দেশ্য করে ট্রাম্প আরো বলেন, ‘আপনাদের নিঃস্ব করে তিনি (হিলারি) ধনী হবেন।
হিলারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে তার গৃহীত নীতির সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেন, ওইসব নীতির কারণেই আজকে আইএস (ইসলামিক স্টেট) এতটা বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে। ২০১২ সালে লিবিয়ার বেনগাজিতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হত্যার জন্যও হিলারির প্রতি আঙ্গুল তুলেছেন ট্রাম্প। তার ভাষায়,‘হিলারির এইসব সিদ্ধান্ত সর্বত্র হত্যা, ধ্বংস আর সন্ত্রাসবাদের বিস্তার ঘটিয়েছে।’
এছাড়া আজকে গোটা মধ্যপ্রাচ্য যেভাবে অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে এজন্যও হিলারিকেই দায়ী করেছেন ট্রাম্প।