গাজীপুর অফিস: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কর্মসূচি ঘোষনা করেও মানববন্ধন করেন নি গাজীপুরে কর্মরত সাংবাদিকদের একাংশ। কোন ঘোষনা ছাড়াই হঠাৎ মানববন্ধন না হওয়ায় নির্ধারিত স্থান থেকে ফিরে গেছেন অনেকে।
বুধবার সকাল ১১টায় গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে পূর্ব নির্ধারিত মানববন্ধন ছিল। বাংলাভিশনের সাংবাদিক মীর ফারুক তার ফেসবুক ওয়ালে ওই কর্মসূরি ডাক দেন। কিন্তু নির্ধারিত সময় থেকে অনেক পর পর্যন্ত কেউ আসেনি।
জানা গেছে, মানববন্ধনের পূর্বে কয়েকজন সাংবাদিক পুলিশ সুপার কার্যালয়ে যান। পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলে তারা চলে যান। তবে কি কথা হয়েছে বা মানববন্ধন স্থগিত হয়েছে কিনা তা জানানো হয় নি ।
গোপন সূত্র বলছে, জুয়ার আসরে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে জুয়ারীদের দ্বারা আহত হন ৪ টিভির স্থানীয় প্রতিনিধি। ঘটনার পর আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালে তাদের দেখতে যান পুলিশ সুপার হারুনর রশিদ। মঙ্গলবার রাতে জয়দেবপুর থানায় আহতদের পক্ষে মামলা হয়। আসামী ২৪ জন। একজনও গ্রেফতার নেই। তবে আংশিক আলামত উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ সুপারের সঙ্গে আলোচনা করে কর্মসুচি স্থগিত করা হয়েছে বলে সূত্র জানায়।
এদিকে ৪ সাংবাদিক আহতের পর তাদের ৪ টিভিতে গুরুত্বের সঙ্গে সংবাদটি প্রচার না হওয়ায় জনমনে ক্ষুবদ্ধ প্রতিক্রিয়া রয়েছে। এ ছাড়া যার বা যাদের নির্দেশে সাংবাদিকদের উপর অমানবিক হামলা হয়েছে তাদের সঙ্গে নিয়েই ন্যায় বিচারের চেষ্টা করা হচ্ছে। ফলে গাজীপুরে ৪ সাংবাদিক আহত হওয়ার ঘটনায় আদৌ ন্যায় বিচার পাওয়া যাবে কিনা বা মামলাটি ওই পর্যন্ত যেতে পারবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই গেল।
এ ছাড়া গাজীপুরে কর্মরত সাংবাদিকদের দাবি, যারা সাংবাদিকদের নামের তালিকা দিয়ে জুয়ার আসর সহ নানা অপরাধস্থল থেকে চাাঁদা আদায় করে পুরো সাংবাদিক সমাজকে কলংকিত করছেন তাদের মুখোশ উন্মোচন করা হউক। সাংবাদিক নামধারী ওই দালালদেরকে প্রশাসনে প্রশ্রয় না দেয়ারও দাবি করা হয়েছে। অন্যথায় সাংবাদিকদের সম্মান ও মর্যাদা ক্ষুন্ন করার অভিযোগে দালাল সাংবাদিক ও আশ্রয় প্রশ্রয় দাতাদের বিরুদ্ধে কঠোর কর্মসুচি ঘোষনা করা হতে পারে।