পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের কাছে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে বুধবার সকালে; যা চলবে রোববার (২৬ জুন) পর্যন্ত।
প্রথম দিনে বিক্রি হচ্ছে ১ জুলাই যাত্রার টিকিট। ২ জুলাইয়ের টিকিট বিক্রি হবে ২৩ জুন (বৃহস্পতিবার)। একইভাবে ৩, ৪ ও ৫ জুলাইয়ের ট্রেনের টিকিট বিক্রি হবে যথাক্রমে ২৪, ২৫ ও ২৬ জুন।
আগামী ৬ জুলাই ঈদ হবে ধরে নিয়ে এবার ঈদযাত্রার ১০ দিন আগে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হলো। গত কয়েক বছর ধরে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হতো পাঁচ দিন আগে থেকে।
সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, বিপুলসংখ্যক টিকিটপ্রত্যাশী সেখানে জড়ো হয়েছেন। কাঙ্ক্ষিত টিকিট পাওয়ার জন্য তারা লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন। সেই লাইন টিকিট কাউন্টার থেকে অনেক দূর পর্যন্ত চলে গেছে।
রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কমলাপুরে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে সকাল ৮ থেকে। এবার কমলাপুর থেকে দৈনিক প্রায় ৪৩ হাজার অগ্রিম টিকিট বিক্রির পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর ২৫ শতাংশ বিক্রি হবে অনলাইনে; অনলাইনে নিশ্চিত করা টিকিটও সংগ্রহ করতে হবে কমলাপুর থেকে।
গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিআইপি) ও রেলকর্মীদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
অগ্রিম টিকিটপ্রত্যাশীদের কয়েকজন জানায়, তাদের অনেকেই মঙ্গলবার ইফতারের আগে কমলাপুরে এসেছেন। কাঙ্ক্ষিত টিকিট যাতে কোনোভাবেই হাতছাড়া না হয়, সেজন্য তারা রাতে স্টেশনেই অবস্থান করেন।
ঢাকা রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মজিদ বলেন, অগ্রিম টিকিট বিক্রির সময় কালোবাজারি প্রতিরোধে তারা পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিয়েছেন।
ঈদের অগ্রিম টিকিট কমলাপুর ছাড়াও বিক্রি হচ্ছে চট্টগ্রাম ও সিলেটে।
এছাড়া ট্রেনে ফিরতি যাত্রার টিকিট বিক্রি হবে ৪ থেকে ৮ জুলাই পর্যন্ত। ফিরতি টিকিট বিক্রি হবে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, লালমনিরহাট এবং খুলনাসহ বিভিন্ন স্টেশনে।