ঢাকা : সরকারি ব্যবস্থাপনাপনার যে ৫হাজার হজযাত্রীর কোটা খালি আছে তা বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। তিনি বলেছেন, সৌদি সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে এটা করা হবে। এছাড়া তাদের কাছে অতিরিক্ত যে ১০ হাজার কোটার জন্য আবেদন করা হয়েছে তাও পাওয়া যাবে বলে জোরালো ভাবে আশা করছি। এটা আমার কনফিডেন্স।
সোমবার রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে আয়োজিত হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) আয়োজিতইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধর্মমন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী নিশ্চয়তা দিয়ে বলেন, এইসব কোটা বণ্টনে কোনো রকমের সমস্যা হবে না। হজ ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে আমি সম্পূর্ণ সজাগ আছি। হজযাত্রীদের ৯৮ ভাগই যে এজেন্সিগুলো সংগ্রহ করেন সেটাও আমার মাথায রয়েছে।
অনুষ্ঠানে হাব সভাপতি ইব্রাহীম বাহার গত বছরের হজে অনিয়মের জন্য অভিযুক্তদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা বিশেষ করে শেষের অতিরিক্ত ৫ হাজার কোটার যাত্রীদের ব্যবস্থাপনার ক্রুটি ক্ষমা করে দেয়ার দাবি জানান। একই সঙ্গে একটি ফ্লাইটে সর্বোচ্চ তিনটি মোয়াল্লেমের হাজি পরিবর্তনের শর্ত বাতিল করারও আহ্বান জানান।
তবে এর জবাবে কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি মন্ত্রী।
হাব সভাপতির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শহীদুজ্জামান, হাবের সহসভাপতি ফরিদ আহমেদ মজুমদার, মহাসচিব শেখ আব্দুল্লাহ, হজ অফিসের পরিচালক ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল প্রমুখ।
ইফতার মাহফিলের পূর্বে একই স্থানে হাবের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়। তবে এজিএমে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক এবং একজন সহ-সভাপতি ছাড়া অন্য কাউকে বক্তব্য দিতে দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন হাবের সাধারণ সদস্যদের অনেকে।
এর আগে গত রোববার সাধারণ হজ এজেন্সি মালিকদের আয়োজিত ইফতার পার্টিতে সৌদি সরকারের কাছ থেকে হজ কোটা বৃদ্ধি করে পবিত্র হজে গমনের জন্য যারা প্রাক নিবন্ধন করেছেন, তাদের সবাইকে হজে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে প্রধানমন্ত্রী এবং ধর্মমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
পাশাপাশি সৌদির কাছ থেকে অতিরিক্ত হজযাত্রীদের কোটা পেলে তা এজেন্সির অনুকূলে বণ্টনের দাবি জানান তিনি।