জেনেভাভিত্তিক গণমাধ্যম সংগঠন ‘এনজিও অ্যাডভাইজার’-এর পর্যালোচনায় ব্র্যাক ২০১৬ সালে বিশ্বের এক নম্বর বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। সেরা ৫০০ উন্নয়ন সংস্থার তালিকা তৈরি করে
তাদের এক বছরের কর্মকাণ্ড বিষয়ে নিরীক্ষা চালানোর পর এ ঘোষণা দেয়া হয়।
গতকাল রোববার ‘এনজিও অ্যাডভাইজার’-এর ওয়েবসাইটে এই ঘোষণা দেয়া হয়। তারা ২০০৯ সাল থেকে এই র্যাঙ্কিং প্রথা চালু করে। বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্যবিমোচনে প্রভাব, নতুন ধারা প্রবর্তন ও টেকসই উন্নয়নে অনন্য ভূমিকা রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ এই বছর আন্তর্জাতিক ক্যাটাগরিতে ব্র্যাক এই সম্মান পেয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে এই র্যাঙ্কিং করতো ‘দি গ্লোবাল জার্নাল’। ওই বছর ব্র্যাক শীর্ষস্থান লাভ করে। পরে গত বছর (২০১৫ সালে) ব্র্যাক দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে। প্রথম হয় সুইজারল্যান্ডের ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস। এই বছর ‘এনজিও অ্যাডভাইজার’ এই র্যাঙ্কিং দেওয়া শুরু করে। এবার ডক্টরস উইদাউট বর্ডারসকে পেছনে ফেলে আবারও শীর্ষস্থানটি দখল করে নিল ব্র্যাক। এবারের তালিকায় উল্লেখযোগ্য এনজিওগুলোর মধ্যে রয়েছে- অক্সফাম (৫ম), সেভ দ্য চিলড্রেন (৯ম) এবং গ্রামীণ ব্যাংক (১২তম)।
‘এনজিও অ্যাডভাইজার’ সংগঠনটি স্বাধীন ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার চর্চায় দৃঢ়ভাবে যুক্ত হয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন সংগঠনের কর্মকাণ্ড মূল্যায়ন করে। এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা জন ক্রিস্টোফ নথিয়াস ‘দি গ্লোবাল জার্নাল’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।
এই স্বীকৃতি অর্জনের পর ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপারসন স্যার ফজলে হাসান আবেদ তাঁর প্রতিক্রিয়ায় জানান, ‘এই অর্জন বাস্তবিকভাবেই ব্র্যাকের জন্য একটি বিরাট সম্মানের ব্যাপার। বিশ্বজুড়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নে ব্র্যাকের কর্মীরা উদ্ভাবনী ও কার্যকর সমাধানের প্রসারে নিয়োজিত রয়েছে। তাঁদের এই নিরলস প্রচেষ্টার স্বীকৃতিস্বরূপই এই সম্মাননা।’
বিশ্বের বৃহত্তম বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক ১২টি দেশে দারিদ্র্যবিমোচন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষিসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি পরিচালনা করে। বর্তমানে প্রায় ১৪ কোটি মানুষ এর সুবিধাভোগী।