নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, ‘ট্রানজিট-ট্রানশিপমেন্টের ফলে বাংলাদেশ-ভারত উভয় দেশ লাভবান হবে। এখানে বহু লোকের কর্মসংস্থান হবে।’
বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় আশুগঞ্জ বন্দরে নৌপ্রটোকল চুক্তির আওতায় ভারতীয় পণ্য বাংলাদেশের ওপর দিয়ে পরিবহনের প্রথম চালানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন উপলক্ষে সূধি সমাবেশে নৌমন্ত্রী একথা বলেন।এর আগে নৌমন্ত্রী শাহজাহান খান ও প্রধানমন্ত্রীর অর্থবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান অতিথিদের নিয়ে দুপুর সোয়া ১টার দিকে ফিতা কেটে, বেলুন উড়িয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রানজিট কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
নৌমন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মাধব রায়ের সভাপতিত্বে আশুগঞ্জ ফেরিঘাট সংলগ্ন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) আশুগঞ্জ গুদামের অভ্যন্তরে এ সুধি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা, এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর এম মোজাম্মেল।
মাশুল প্রসঙ্গে নৌপরিবহনমন্ত্রী বলেন, ‘বন্দর যখন আধুনিক হবে তখন স্ক্যানিং মেশিন বসানো হবে, অটোমেশন করা হবে। এসব স্থাপন করা হলে তখন ভিন্ন ভিন্ন ফি ধার্য করা হবে। সব মিলিয়ে তখন প্রতি টন পণ্য পরিবহনে ৭০০ থেকে ৮‘শ টাকা মাশুল আদায় করা হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর অর্থবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান বলেন, ‘ট্রানজিটের ফলে বাংলাদেশ- ভারত উভয় দেশই উপকৃত হবে। দেশে কর্মসংস্থান হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পণ্য পরিবহনে খরচ না কমলে বাণিজ্য বাড়বে না। এজন্য নৌ প্রটোকল চুক্তিতে, স্থায়ীভাবে ট্রানজিটের বিধান রাখা হয়েছে।’
ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা এ দিনকে ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, ‘বাংলাদেশের এ অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে ত্রিপুরার জনগণের হৃদ্যতাপূর্ণ সর্ম্পক রয়েছে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশের ২০ লাখ মানুষকে আশ্রয় দিয়েছিল ত্রিপুরাবাসী। সেদিন বাংলাদেশের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল ত্রিপুরার জনগণ।’
ট্রানজিট চালু প্রসঙ্গে তিনি বলেন,’আগে প্রায় তিন গুন পথ অতিক্রম করে ত্রিপুরায় মালামাল আনা হতো। ট্রানজিটের এই সুবিধার ফলে এখন তাদের সময় ও খরচ অনেক কমে আসবে।’
এ সুবিধা দেওয়াকে দুদেশের মধ্যে অনন্য বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে অভিহিত করেন ভারতের হাইকমিশনার।
উল্লেখ্য, গত ১৪ জুন বিকেলে ভারতের কলকাতা থেকে এক হাজার মেট্রিক টন রড জাতীয় স্টিল শিট নিয়ে এম ভি নিউটেক -৬ নামে জাহাজ নৌ প্রটোকলের আওতায় বাংলাদেশের আশুলিয়া বন্দরে এসে পৌছায়।