ঢাকা: নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক কারাবন্দি মাহমুদুর রহমান মান্নাকে বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে কারা কর্তৃপক্ষকে হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন বৃহস্পতিবার (১৬ মে) খারিজ করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ।
আদালতে রাষ্টপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এর আগে এক আবেদনের শুনানি শেষে মঙ্গলবার (৩১ মে) বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ মান্নাকে বারডেমে চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
আবেদনে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে মান্না কারাগারে রয়েছেন। তিনি হৃদরোগসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। এজন্য তার চিকিৎসার প্রয়োজন।
সেনা বিদ্রোহের উসকানি এবং রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে দুই মামলায় ২১ মার্চ মাহমুদুর রহমান মান্নাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
এ রুলের শুনানিকালে আইনজীবীরা তার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে আবেদন করলে ৩১ মে হাইকোর্ট উক্ত আদেশ দেন।
এরপর গণমাধ্যমের তথ্য অনুসারে মাহমুদুর রহমান মান্নাকে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে (বারডেম) ভর্তি করা হয়। এরপর ১৪ জুন মঙ্গলবার দুপুরে ওই হাসপাতাল থেকে আবার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
২০১৫ সালে রাজনৈতিক সংকট নিরসনে মান্নার সঙ্গে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা এবং অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তির টেলিফোনে কথা বলার দুটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ হওয়ার পর ‘নিখোঁজ’ হন।
এর দুইদিন পর ২০১৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ মান্নাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে।
এর মধ্যে সেনা বিদ্রোহে উসকানি দিয়ে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ২৪ ফেব্রুয়ারি একটি মামলা হয় মান্নার বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে ৫ মার্চ রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে আরও একটি মামলা করা হয়।