স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশে নয়, বরং টার্গেট কিলিং বন্ধে সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী ও আদালত থেকে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। রাজনৈতিক কারণে কাউকেই গ্রেফতার করা হয়নি।
তিনি বলেন, আদালত কর্তৃক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা আসামি এবং সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন এমন অভিযোগ থাকা লোকজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। একই সঙ্গে অভিযানে কোনো নিরাপদ ব্যক্তিকে যেন গ্রেফতার বা হয়রানি না করা হয় সে বিষয়টিও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে তার দফতরে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকাটের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি সাংবাদিকদের একথা জানান।
গ্রেফতারের বিষয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত জানতে চেয়েছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এটা বিশেষ কিছু নয়, কোনো রাজনৈতিক নেতাকে আটক করিনি। কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের জন্য এটা করিনি। আমরা সন্দেহভাজন টেরোরিস্ট ও আদালত কর্তৃক নির্দেশিত (ওয়ারেন্টভুক্ত) ক্রিমিনালদের ধরার জন্যই এটা (সাঁড়শি অভিযান) করছি।’
বিএনপি দাবি করেছে গ্রেফতার করা অর্ধেকই বিএনপির নেতাকর্মী- এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি দাবি করছে কেন আমার জানা নেই। আমার মনে হয় যারা ক্রিমিনাল সবাই বিএনপির রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন। কোর্ট থেকে যেগুলো আদেশপ্রাপ্ত হয়েছি, হয়তো সে ধরনের যারা ক্রিমিনাল তারা বিএনপির সদস্য হতে পারে, সেটা আমাদের জানা নেই।’
বার্নিকাটের সঙ্গে আকস্মিক বৈঠক সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, তিনি বেশ কিছুদিনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন। সঙ্গে বাংলাদেশের একটি ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দলও যাচ্ছে। এজন্য তিনি অনেক দিন এখানে থাকবেন না। এটা জানাতে এসেছিলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বার্নিকাটের কাছে আমি যুক্তরাষ্ট্রের নাইটক্লাবে হামলা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছি। এ ঘটনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা যে বক্তব্য দিয়েছিলেন তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি। ওবামা তার বক্তব্যে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে কোনও আইএস নেই। আমরাও বলতে চাই যে, বাংলাদেশেও কোনও আইএস নেই।
সন্ত্রাসবাদকে একটি বৈশ্বিক সমস্যা বলে অভিহিত করেছেন বার্নিকাট। এ সমস্যা মোকাবিলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশকে একসঙ্গে লড়তে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
বৈঠক শেষে বার্নিকাট সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘মার্কিন নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এ বিষয়ে আলোচনা করতে এসেছি।