স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, গাজীপুর থেকে ফিরে: গাজীপুর সিটিকরপোরেশনে কাউন্সিলরদের মধ্যে বিএনপি থেকে আওয়ামীলীগে যোগ দিয়েছেন অনেক কাউন্সিলর। মামলা মোকদ্দমা ও হয়রানী থেকে মুক্ত হয়ে সুবিধাজনক সময় উপভোগ করতে কাউন্সিলরদের এই দল বদল।
অনুসন্ধানে জানা যায়, জিসিসির একজন মেয়র, ৫৭ জন পুরুষ কাউন্সিলর ও ১৯জন সংরক্ষিত আসনে নারী কাউন্সিলর রয়েছেন। এই ৭৬ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ফলাফল ঘোষনার পর বিএনপি সমর্থিত ছিলেন ২৮ জন। সরকার বিরোধী মেয়র ও ২৮ বিএনপির কাউন্সিলর সিটিকরপোরেশনে কাজ শুরু করেন। এরপর ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ বিএনপি সমর্থিত মেয়রকে রাজনৈতিক চাপে ফেলে দেয়। এতে মেয়র সহ বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলররা কোনঠাসা হয়ে পড়েন। সুবিধাজনক স্থানে থাকার কারণে গোপনে গোপনে লিঁয়াজো শুরু হয়। এক পর্যায়ে প্যানেল মেয়র নিয়ে দ্বন্ধ ও পরে মামলা হয়। ওই দ্বন্ধে মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নান সকল দলের নিকট সমান থাকতে ও পদ ধরে রাখার জন্য বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র হাসান আজমল ভূঁইয়াকে সমর্থন করেননি বলে অভিযোগ রয়েছে। পরবর্তি সময় বিএনপির হাসান আজমল ভূইয়া ও আ:লীগের আসাদুর রহমান কিরণ ১ নং প্যানেল মেয়রের জন্য মামলা মোকদ্দমায় জড়িয়ে যান।
পরিস্থিতি প্রতিকূলে যাওয়ায় হাসান আজমল ভূইয়া গোপনে আঁতাত করে মামলা প্রত্যাহার করেন। ফলে আসাদুর রহমান কিরণ ১নং প্যানেল মেয়র হয়ে যান। ফলে অধ্যাপক এম এ মান্নান গ্রেফতার হওয়ার পর আসাদুর রহমান কিরণ ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পান।
পর্যবেক্ষন সূত্র বলছে, আসাদুর রহমান কিরণ মেয়রের চেয়ারে বসায় বিএনপির কাউন্সিলররা নগর ভবনে যাতায়াতও অনেক কমিয়ে দেন। একই সময় মামলা মোকদ্দমার ভয়ে পালিয়ে থাকেন। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হয়ে পালিয়ে থাকার কষ্টে অনেক বিএনপির কাউন্সিলর গোপনে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন।
শেষ তথ্য বলছে, গাজীপুর সিটিকরপোরেশনে বর্তমানে বিএনপি সমর্থিত ২৮ কাউন্সিলরের মধ্যে ১২ জন কাউন্সিলর বিএনপির সঙ্গে এখনো আছেন। বাকীরা সকলেই ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে মিশে গেছেন। এই মিশে যাওয়াদের মধ্যে বিএনপির বড় বড় পদ পদবীর নেতা যারা কাউন্সিলর হয়েছেন তারাও আছেন।