কুমিল্লার কলেজছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়েছে। সোমবার সকালে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুমতাহিন বিল্লাহর আদালতে প্রতিবেদনটি দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মো. ইব্রাহিম। এর আগে রোববার তনুর দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের পক্ষ থেকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) জমা দেয়া হয়।
তনুর দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. কে পি সাহা রোববার জানান, মরদেহ বিকৃত হওয়ায় ময়নাতদন্তে তনুর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তিনি বলেন, মৃত্যুর আগে তনুর সঙ্গে কারও শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিল।
তবে এটাকে ধর্ষণ বলা যায় না। তিনি মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে ‘পারিপার্শ্বিক অবস্থা’ বিবেচনায় অধিকতর তদন্তের কথা বলেন। এর আগে রোববার সকালে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) কুমিল্লায় শাখায় তনুর দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের পক্ষ থেকে জমা দেওয়া হয়। গত ২০ মার্চ তনুর লাশ কুমিল্লা সেনানিবাসের পাওয়ার হাউসের অদূরের কালভার্টের পাশে ঝোপ থেকে উদ্ধার করা হয়।
ময়না তদন্তের কথা পরিস্কার যে, তনু খুনের পূর্বে ধর্ষিত হয়নি, কারো সঙ্গে শারিরিক সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন। এর অর্থ হল, তনু জীবদ্ধশায় খারাপ ছিলেন। এটাই দ্বিতীয় ময়না তদন্ত রিপোর্টে পাওয়া গেলে। এই যদি ময়না তদন্ত রিপোর্ট হয় তাহলে বার বার ময়না তদন্ত করার প্রয়োজন কি ছিল? তনু হত্যার বিচার কেমন হবে তা একাধিক ময়না তদন্ত রিপোর্টই বলে দেয়। তবে কোন অপরাধের বিচার এমন গতিতে এগিয়ে গেলে ভবিষৎ অন্ধকার হয়ে যাবে। মানুষ ন্যায় বিচারের উপর আর ভরসাও করবে না।
ড. এ কে এম রিপন আনসারী
এডিটর ইনচীফ
গ্রামবাংলানিউজটোয়েন্টিফোরডটকম