যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার একটি সমকামী নাইটক্লাবে হামলা চালিয়েছে এক বন্দুকধারী। এতে নিহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন। আহত ৫৩ জনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে। হামলাকারী পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। পুলিশ তাকে ওমর মতিন নামে শনাক্ত করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেয়া মতিনের পিতা মাতা আফগান। কর্তৃপক্ষ এ সহিংসতাকে ঘরোয়া সন্ত্রাসবাদী কর্ম (অ্যাক্ট অব ডোমেস্টিক টেরর) হিসেবে বিবেচনা করছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে বন্দুকধারীর গুলিতে এটিই সবচেয়ে বেশি নিহত হওয়ার ঘটনা। তদন্তে যুক্ত হয়েছে এফবিআই। অরলান্ডো পুলিশ প্রধান জন মিনার বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে বিবিসি ও সিএনএন। খবরে বলা হয়েছে, রোববার স্থানীয় সময় রাত দুইটায় এক বন্দুকধারী হামলা চালায় ফ্লোরিডার পালস ক্লাবে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত কয়েকজন জানিয়েছেন, তারা ৪০ থেকে ৫০ রাউন্ড গুলির শব্দ পেয়েছেন।
হামলার সময় ওমর মতিনের কাছে অ্যাসল্ট রাইফেল, হ্যান্ডগান ও এক ধরণের ডিভাইস দেখা গেছে। পুলিশের কাছে মনে হয়েছে, এ হামলা সুসংগঠিত। কিছুদিন ধরে পুলিশের নজরদারিতে ছিলেন তিনি। তবে তার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোন তদন্ত কখনও হয়নি।
স্থানীয় সময় রাত দুইটায় ক্লাবে হামলা করে ওই বন্দুকধারী। বাছবিচারহীনভাবে গোলাগুলির এক পর্যায়ে সেখানে কর্মরত এক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে গুলি বিনিময় হয় তার। এক পর্যায়ে কয়েকজনকে জিম্মি হিসেবে আটক করে সে। কিন্তু ভোর ৫টার দিকে সোয়াতের বিশেষ একটি টিম অভিযান চালিয়ে জিম্মিদের মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। এ সময় নিহত হয় ওমর।
হামলার পর বেঁচে চাওয়া ক্রিস্টোফার হ্যানসন নামে এক ব্যক্তি জানান, হামলার পর ভিতরে কেবল মানুষের দেহ পড়ে রয়েছে। তিনি বলেন, ‘পার্কিং লটে তাদের হলুদ বা লাল রঙ দিয়ে চিহ্নিত করা হচ্ছেÑ কার জন্য আগে সহায়তা প্রয়োজন। তাদের কারও প্যান্ট ছিঁড়ে গেছে, কারও গায়ে শার্ট নেই, তাদের শরীরে বুলেটের চিহ্ন। চারদিকে কেবল রক্ত আর রক্ত।’ রিকার্ডো আলমোদোভার নামে এক ব্যক্তি পালস ক্লাবের ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ড্যন্স ফ্লোর ও বারে যারা ছিলেন, তারা আত্মরক্ষার তাগিদে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। যারা বার বা পেছনের দরজার পাশে ছিলেন, তারা আমার মতো দৌড়ে পালাতে পেরেছে। অ্যান্থনি তোরেস নামে আরেক ব্যক্তি জানান, তিনি অনেককে চিৎকার করতে শুনেছেন যে ভেতরের অনেকে মারা গেছে। স্থানীয় টিভির প্রতিবেদক স্টুয়ার্ট মুর টুইট করেন যে, তাকে একটি সূত্র জানিয়েছে ২০ জনেরও বেশি মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তিনি তখন জানিয়েছিলেন, হামলাকারী জিম্মিসহ নাইটক্লাবের ভেতর অবস্থান করছিল। একজন নারী জানিয়েছেন, তার মেয়ে তাকে টেক্সট মেসেজের মাধ্যমে জানিয়েছে যে তার হাতে গুলি লেগেছে। ওই মেয়ে ক্লাবের মধ্যেই ছিল।
হামলার সময় ওমর মতিনের কাছে অ্যাসল্ট রাইফেল, হ্যান্ডগান ও এক ধরণের ডিভাইস দেখা গেছে। পুলিশের কাছে মনে হয়েছে, এ হামলা সুসংগঠিত। কিছুদিন ধরে পুলিশের নজরদারিতে ছিলেন তিনি। তবে তার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোন তদন্ত কখনও হয়নি।
স্থানীয় সময় রাত দুইটায় ক্লাবে হামলা করে ওই বন্দুকধারী। বাছবিচারহীনভাবে গোলাগুলির এক পর্যায়ে সেখানে কর্মরত এক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে গুলি বিনিময় হয় তার। এক পর্যায়ে কয়েকজনকে জিম্মি হিসেবে আটক করে সে। কিন্তু ভোর ৫টার দিকে সোয়াতের বিশেষ একটি টিম অভিযান চালিয়ে জিম্মিদের মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। এ সময় নিহত হয় ওমর।
হামলার পর বেঁচে চাওয়া ক্রিস্টোফার হ্যানসন নামে এক ব্যক্তি জানান, হামলার পর ভিতরে কেবল মানুষের দেহ পড়ে রয়েছে। তিনি বলেন, ‘পার্কিং লটে তাদের হলুদ বা লাল রঙ দিয়ে চিহ্নিত করা হচ্ছেÑ কার জন্য আগে সহায়তা প্রয়োজন। তাদের কারও প্যান্ট ছিঁড়ে গেছে, কারও গায়ে শার্ট নেই, তাদের শরীরে বুলেটের চিহ্ন। চারদিকে কেবল রক্ত আর রক্ত।’ রিকার্ডো আলমোদোভার নামে এক ব্যক্তি পালস ক্লাবের ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ড্যন্স ফ্লোর ও বারে যারা ছিলেন, তারা আত্মরক্ষার তাগিদে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। যারা বার বা পেছনের দরজার পাশে ছিলেন, তারা আমার মতো দৌড়ে পালাতে পেরেছে। অ্যান্থনি তোরেস নামে আরেক ব্যক্তি জানান, তিনি অনেককে চিৎকার করতে শুনেছেন যে ভেতরের অনেকে মারা গেছে। স্থানীয় টিভির প্রতিবেদক স্টুয়ার্ট মুর টুইট করেন যে, তাকে একটি সূত্র জানিয়েছে ২০ জনেরও বেশি মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তিনি তখন জানিয়েছিলেন, হামলাকারী জিম্মিসহ নাইটক্লাবের ভেতর অবস্থান করছিল। একজন নারী জানিয়েছেন, তার মেয়ে তাকে টেক্সট মেসেজের মাধ্যমে জানিয়েছে যে তার হাতে গুলি লেগেছে। ওই মেয়ে ক্লাবের মধ্যেই ছিল।