ঢাকা: গত ০৩ জুন অ্যারিজুয়ানার ফনিক্সের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ‘দ্য গ্রেটেস্ট’ মুহাম্মদ আলী। দীর্ঘদিন ধরে পারকিনন্স রোগে ভোগেন তিনি। ৭৪ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন আলী।
শুক্রবার (১০ জুন) জন্মস্থান কেনটাকির লুইভিলে বিশ্ব মানবতার অন্যতম দূতের শেষকৃত্যানুষ্ঠান হবে।
কিংবদন্তী এই বক্সারের মৃত্যুর আগে তার মস্তিষ্ক দান করা হবে বলে খবর রটেছিল। মৃত্যুর পর আবারো সেই প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু, আলীর পরিবার ও তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক গ্রেট এই বক্সারের মস্তিষ্ক দানের বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছেন।
আলীয় চিকিৎসক আবে লিবারম্যান জানান, গবেষণার জন্য আলীর মস্তিষ্ক দান করা হবে এমন খবর আমরা এর আগেও শুনেছি। কিন্তু, আমার জানা মতে আলী কিংবা তার পরিবারের এমন কোনো পরিকল্পনা ছিল না।
লিবারম্যান আরও জানান, ১৯৮৪ সালে আমি আলীর মস্তিষ্কে পারকিনন্স রোগ ধরতে পেরেছিলাম। আলী নিজেও মনে করতেন না বক্সিং তার এই রোগের জন্য দায়ী। এটা নিয়ে কোনো গবেষণার প্রয়োজন নেই। কারণ আলীর এই রোগ অনেক আগে থেকেই ছিল।
লিবারম্যান আরও জানান, ১৯৮০ সালে ল্যারি হোমলেসের সঙ্গে লড়তে গিয়ে আলী মাথায় বেশ মারাত্মক আঘাত পান। আলী যদিও মনে করতেন তার মস্তিষ্ক সেই লড়াইয়ে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, তারপরও তিনি নিজের মস্তিষ্ক গবেষণার মতো কোনো সিদ্ধান্ত নেননি।