স্টাফ করেসপন্ডেন্ট গাজীপুর থেকে ফিরে; গাজীপুর সিটিকরপোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নান কে সাময়িক বরখাস্ত করার পর ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব নেন কাউন্সিলর আসাদুর রহমান কিরণ। মোট দুই দফায় অধ্যাপক এম এ মান্নান গ্রেফতার হওয়ার পর তিনি এখন দুই ডজন মামলার আসামী হয়ে কারাগারে রয়েছেন। এরই মধ্যে উচ্চ আদালত সাময়িক বরখাস্তের আদেশ বাতিল করলেও পুনরায় আদেশ দেয় সরকার। ফলে কাউন্সিলর আসাদুর রহমান কিরণ মেয়রের দায়িত্ব পালন করতে থাকেন।
এদিকে মেয়রের দায়িত্ব পাওয়ার পর আসাদুর রহমান কিরণ, সকল কাউন্সিলর ও শুভানুধ্যায়ীদের নিয়ে কক্সবাজারে একটি আনন্দ ভ্রমনে যান। ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত ওই ভ্রমন হয়। গাজীপুর সিটিকরপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র, কাউন্সিলর , প্রতিমন্ত্রী ও এসপি সহ ভিআইপিরা বিমানে কক্সবাজার যাতায়াত করেন। অবশ্য কক্সবাজার থেকে আসার সময় সকলেই বিমানে আসেন। সফর শেষে প্রত্যেককে দেয়া হয় একটি করে বেডসীটও। এই সফরে মোট কমপক্ষে ১২০জন সদস্য ছিলেন।
সফরে থাকা একাধিক সূত্র জানায়, সফরে কাউন্সিলর ছাড়াও যারা ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন, নারী ও শিশু মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোঃ হারুন অর রশীদ, গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি এড. আজমত উল্লাহ খান, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রমূখ।
সূত্র জানায়, সফরে যাওয়ার জন্য তিনটি বাস ভাড়া করা হয়। কমপক্ষ্যে ৩ লঅখ টাকায় ভাড়া হয়। প্রায় ৭ লাখ টাকায় বিমান ভ্রমন নিশ্চিত করা হয়। সমুদ্রপাড়ে সি প্লেস হোটেলে প্রায় ৫০টির মত রুম ভাড়া করা হয়। প্রতি রুমের এক দিনের ভাড়া ৩ হাজার টাকা করে তিন দিনে প্রায় ৫ লাখ টাকা ভাড়ায় খরচ করা হয়। হোটেলে দুই রাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হয়েছে। শিল্পীদের দেয়া হয়েছে কমপক্ষ্যে ১ লাখ টাকা করে দুই লাখ টাকা। তিন দিনে খাওয়া দাওয়া বাবদ খরচ হয়েছে কমপক্ষ্যে ১০ লাখ টাকা। এ ছাড়া আরো কিছু বিবিধ খরচ হয়েছে যা মিলিয়ে প্রায় ৪০ লাখ টাকার মত খরচ হয়েছে ওই সফরে।
গাজীপুর সিটিকরপোরেশনের এই বিশাল আনন্দ ভ্রমনের বড় বাজেট কোথা থেকে পাওয়া গেলে তা জানা যায় নি। তবে সূত্র গুলো বলছে, ভারপ্রাপ্ত মেয়র কিরণ সাহেব সকল খরচ বহন করেছেন।