রাজশাহী: রাজশাহীর চারঘাট সীমান্ত থেকে মাছ ধরা দু’টি ইঞ্জিনচালিত নৌকাসহ ৯ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ সদস্যরা। এ ঘটনায় বাংলাদেশি সীমানায় অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় ১১ জেলেকে আটক করেছে বিজিবি।
বুধবার (০৮ জুন) সকাল সাড়ে দশটার দিকে পদ্মানদীতে এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে ভারতীয় বিএসএফ সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। তারা আটক বাংলাদেশিদের ছেড়ে দিলে বিজিবিও আটক ভারতীয়দের ছেড়ে দেবে বলে জানিয়েছেন বিজিবি-১ ব্যাটালিয়ন পরিচালক লে. কর্নেল শাহজাহান সিরাজ।
লে. কর্নেল শাহজাহান সিরাজ জানান, আটককৃতরা সকলেই জেলে। আটক জেলেরা নিজ নিজ দেশের সীমানা অতিক্রম করায় এমন ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে। তবে জেলেদের সর্তকতার সঙ্গে নদীতে মাছ ধরা উচিত বলে মনে করেন বিজিবি’র এই কর্মকর্তা।
প্রতক্ষদর্শীরা জানান, রাজশাহীর চারঘাট পৌরসভার মিয়াপুর এলাকার দুদু মিয়া, মান্না, ফারুক, মিজান, মিটুল, শহিদুল, টুটুল, লিটন ও মাসুদসহ বেশ কয়েকজন জেলে প্রতিদিনের মতো বুধবার সকালে পদ্মানদীতে মাছ ধরতে যান। দু’টি ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে মাছ ধরার এক পর্যায়ে ভুলক্রমে তারা ভারতীয় সীমানায় ঢুকে পড়েন।
এ সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ সদস্যরা ধাওয়া দিয়ে দু’টি নৌকাসহ বাংলাদেশি ৯ জেলেকে আটক করেন। পরে এ সংবাদ বিজিবির সদস্যরা জানতে পেরে বাংলাদেশি সীমানায় অনুপ্রবেশকারী ভারতীয় ১১ জেলেকে আটক করেন।
আটক-পাল্টা আটকের ঘটনায় পদ্মায় মাছধরা জেলেদের মাঝে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
চারঘাট বিজিবি’র কোম্পানি কমান্ডার মোহাম্মদ আলী জানান, ভারতীয় বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশি ৯ জেলেকে দু’টি মাছ ধরার নৌকাসহ ধরে নিয়ে গেছেন। বিএসএফ সদস্যদের দাবি, বাংলাদেশি জেলেরা ভারতীয় সীমানায় অনুপ্রবেশ করেছেন।
কিন্তু ভারতীয় জেলেরাও কোনো বাধা ছাড়াই বাংলাদেশের সীমানায় অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকার করছিলেন। পরে ভারতীয় ১১ জেলেকে বাংলাদেশের সীমানায় প্রবেশ করে মাছ শিকারের অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠকের চেষ্টা চলছে। বিএসএফ আটক বাংলাদেশিদের ছেড়ে দিলে তারাও আটক ভারতীয়দের ছেড়ে দেবেন। তবে বিকেল পৌনে ৫টা পর্যন্ত ভারতীয় বিএসএফ সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি বলেও জানান মোহাম্মদ আলী।